জীবনে চলার পথে কেউ না কেউ আমাদের পাশে দাঁড়ান। আর এই মানুষগুলো কিন্তু আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী, মঙ্গলপ্রত্যাশী। তাই আমাদেরও উচিত এসব প্রিয় মানুষগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। তাহলে আর দেরি কেন, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য আজকের দিনটিই বেছে নিতে পারেন। কারণ আজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার দিন।
‘কৃতজ্ঞতা হলো সৌজন্যের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট রূপ,’ কথাটি বলেছেন ফরাসি দার্শনিক জাক মারিত্যাঁ। প্রাচীন রোমের রাজনীতিবিদ ও দার্শনিক সিসেরোর বিবেচনায় কৃতজ্ঞতাবোধ কেবল একটি শ্রেষ্ঠ গুণই নয়, অন্য সব গুণেরও জনক। সত্যিই কৃতজ্ঞতাবোধের চেয়ে সুন্দরতম বোধ ও মনুষ্য বৈশিষ্ট্য আর হয় না।
আমরা প্রায়ই বলি, কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই। সত্যিই কৃতজ্ঞতা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু, কারো প্রতি কৃতজ্ঞতা ফুটে ওঠে আচার-আচরণ বা দৃষ্টিভঙ্গিতে। আবার খুব ছোট একটি শব্দও হতে পারে কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ, যেমন- ধন্যবাদ।
সামান্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে একটি ছোট বিষয়কেও অনেক দূরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। কারণ, মানুষ প্রশংসা পছন্দ করে। কারো কাজের বিনিময়ে একটু প্রশংসা করাও এক ধরনের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। এটি এমন একটি গুণ যা একজন ব্যক্তির আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদা বাড়ায়। আবার পেশাদার ও সামাজিক দক্ষতাও বাড়ে।
১৯৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি আন্তর্জাতিক সমাবেশ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, বিশ্বের বিস্ময়কর জিনিসগুলোর প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা প্রকাশের জন্য বছরে একটি নির্দিষ্ট দিন রাখার। ওই সমাবেশে অংশ নেওয়া অনেকে নিজ দেশে ফিরে ১৯৬৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর কৃতজ্ঞতা দিবস পালন করেছিলেন। তারপর থেকে, বিশ্বজুড়ে কৃতজ্ঞতা দিবস উদযাপনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পাচ্ছে।
তবে, কৃতজ্ঞতা শুধু মানুষের কাছে প্রকাশ করতে হবে তা কিন্তু নয়, বরং আমাদের যা আছে তাই নিয়েও কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। যা নেই তার জন্য আফসোস করা ঠিক নয়।
এবি