আজ ২২ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এতে মানুষ তেলচালিত গাড়ির ব্যাপক ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে সচেতন হবে, নতুন দূষণমুক্ত জ্বালানিচালিত গাড়ির সুফল সম্পর্কে জানবে, গাড়ি শিল্পে নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্ক অবগত হবে
১৯৭৪ সালে সুইজারল্যান্ডে গাড়িমুক্ত দিবস পালন করা হয়। মূলত নাগরিকদের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার না করে বরং সাইকেল, হাঁটা বা গণপরিবহন ব্যবহারে উৎসাহিত করতে ৭০’র দশকে ইউরোপে গাড়িমুক্ত দিবসের সূচনা হয়। তবে নব্বই দশকে এই দিবস পালনের ব্যাপকতা ছড়িয়ে পড়ে। সে সময়ই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘কার ফ্রি সিটি নেটওয়ার্ক’ গড়ে ওঠে। পরে ১৯৯৮ সালের আজকের দিনে ফ্রান্সে জাতীয়ভাবে ৩৪টি শহরে গাড়িমুক্ত দিবস পালন করা হয়। পরের বছর ফ্রান্সের পাশাপাশি ইতালির ৯০টি শহরে একসঙ্গে দিবসটি পালনের মধ্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
২০০১ সালের একই দিনে বিশ্বের ৩৩টি দেশের প্রায় এক হাজার শহরে দিবসটি পালন করা হয়। এভাবেই ধীরে ধীরে এটি ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন দেশে। বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় ৪ হাজার শহরে বিশ্ব গাড়িমুক্ত দিবস পালিত হয়। তবে ২০০৬ সাল থেকে দেশে বেসরকারি উদ্যোগে দিনটি উদযাপন করা হচ্ছে। তবে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে এটি পালন শুরু হয়। এই দিবসের অঙ্গীকার অনুযায়ী সরকারের পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার সীমিত বা নিয়ন্ত্রিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। মূলত ব্যক্তিগত এবং সব তেলচালিত গাড়ির প্রতি নির্ভরতা কমিয়ে দূষণমুক্ত গাড়ি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করাই দিবসটির মূল উদ্দেশ্য। আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে ১৯৭৪ সালে প্রথম সুইজারল্যান্ডে এই দিবস পালন করা হয়।
এবি