গত সপ্তাহে ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড। এ হামলার পর তেহেরানে পাল্টা হামলা চালাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির রাজনৈতিক মিত্র এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী সেই পথেই এগুচ্ছে। তবে ইরানের কোন দিকটি টার্গেট করে হামলা চালাবে তেল আবিব সেটিই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
এ নিয়ে এক বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি সংবাদমধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্ট। এতে বলা হয়েছে, ইরানের তেলবাহী স্থাপনাকে কেন্দ্র করে আইডিএফ’র হামলা নিয়ে ইসরায়েলের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে কিছুটা দ্বিধা তৈরি হয়েছে। কারণ হামলাটি তারা এমন ভাবে চালাতে চায় যেন এর মাধ্যমে তারা পুরো বিশ্বকে তাদের সক্ষমতা জানান দিতে পারে। এক্ষেত্রে ইরানের সামরিক, অথনৈতিক এবং সরকারি কাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে তেল আবিব। কারণ এই তিনটি লক্ষ্যবস্তুর একটিতে হামলা করলে ইসরায়েল বেশি লাভবান হবে।
বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, তিন লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ইরানের সবচেয়ে বেশি টার্গেট ইরানের সামরিক বাহনীকে কেন্দ্র করে। কারণ এক্ষেত্রে ইরান কৌশলগতভাবে বেশি লাভবান হতে পারে।
উদাহরণস্বরুপ বলা হয়েছে, ভূমি থেকে ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হতে পারে। এছাড়া রয়েছে ড্রোন উৎক্ষেপণ কেন্দ্র এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
ইরানের ভূমি থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা সুবিধা রয়েছে। যেগুলো রাশিয়া এবং চীনের তৈরি। এছাড়া নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে ইরানের। যেগুলো শত শত কিলোমিটার থেকে শত্রুপক্ষের হামলা মোকাবিলা করতে পারে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের রাজনৈতিক বলয় ইরানের অর্থনৈতিক কাঠামোতে আঘাত হানার পরিকল্পনা করেছে। কারণ এক্ষেত্রে ইরানের তেল উৎপাদন কেন্দ্র, পরিবহন স্থাপনা এবং মজুদ স্থাপনাসহ পরিবহন বন্দরকে কেন্দ্র করে হামলা চালালে বিশ্বের ইরানের তেল রপ্তানি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। তবে এক্ষেত্রে চীন ও রাশিয়ার সহযোগিতার পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারে ইরান।