মুন্সীগঞ্জে গজারিয়ায় বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে মোস্তাক ফকিরের বাউল গানের আসরে প্রতিপক্ষের হামলায় দুইজনের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্নসহ চারজন আহত হওয়ায় খবর পাওয়া গেছে। আহত চারজনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহতরা হলেন- চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামের মৃত গর্জন আলী সরকারের ছেলে নুরুজ্জামাল (জামাল) (৫০), মুক্তার হোসেন (৩৭) ও তাদের চাচাতো ভাই সাকিব (২৩), নাতি হামিম (১৪)।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের বিষয় নিয়ে একই গ্রামের প্রতিবেশী সজিব, বাবু, মাসুদ, দিল মোহাম্মদ গংদের সাথে বিরোধের বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বাসেত মিয়ার পক্ষ হয়ে বাধা দিলেই শুরু হয় শত্রুতা।
এই ঘটনায় পর থেকেই নুরুজ্জামালের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল ফজলুল করিম ও তার আত্মীয়-স্বজনরা।
ওই ঘটনার জের ধরে শনিবার (৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত নয়টার দিকে বাউল গানের আসরে প্রতিপক্ষের সজিব, জাহাঙ্গীর, ফজলুল করিম, নান্নু, বাবু, রবিউল আউয়াল, হাসানসহ আরও কয়েকজন বটি দা, রামদা, ছুরি নিয়ে হামলা করে নুরুজ্জামালের ওপর।
এ সময় তারা তাকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আহত করে। তাকে বাঁচাতে তার ছোট ভাই মুক্তার এবং পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়। হামলাকারীরা নুরুজ্জামালের এক হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এসময় তাদের আত্মচিৎকারে আশেপাশে লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা কয়েক রাউন্ড গুলি করে চলে যায়।
মোস্তাক ফকিরের কাছে সংঘর্ষের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার করতে হবে।
বিষয়টা সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা সবাই পলাতক। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।