চলতি মাসে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। কিন্তু তার আগে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা একের পর এক বিড়ম্বনায় পড়ছে। সরাসরি ভেনেজুয়েলায় ট্রানজিট করতে পারবে না বলে আলবিসেলেস্তে বাহিনী ক্যাম্প করছে মায়ামিতে। আর সেখানেই তারা হারিকেন মিল্টনের কবলে পড়েছে। তবে ঠিক ঝড়ের কবলে নয়, হারিকেনের কারণে সতর্কতা জারি করায় এখনই ভেনেজুয়েলায় উড়াল দিতে পারছেন না স্কালোনি-মেসিরা।
এর আগে আসন্ন দুটি বাছাইয়ের জন্য দল ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক চোটের খবরে বিপর্যস্ত লিওনেল স্কালোনির শিবির। যে কারণে কোপা আমেরিকার পর প্রথমবার লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার স্কোয়াডে ফিরলেও, দলটি স্বস্তিতে নেই। স্কোয়াড ঘোষণার পরই চোট পান তরুণ ফরোয়ার্ড নিকোলাস গঞ্জালেস। পরে চোটের (মাংসপেশী) তালিকায় যুক্ত হন পাউলো দিবালা। সেই ধাক্কা সামাল না দিতেই হ্যামস্ট্রিং চোটে ছিটকে গেছেন মার্কোস আকুনা। আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফরোয়ার্ড আলেজান্দ্রো গারনাচো বাম হাঁটুতে চোট পেয়েছেন।
ইতোমধ্যে তাদের বিকল্পও দলে নিয়েছেন আর্জেন্টাইন মাস্টারমাইন্ড স্কালোনি। চোটের ধকল সামলে বাছাইপর্বে ভালো করার লক্ষ্য স্থির করার আগেই এসেছে নতুন ঝামেলা। যা নিয়ে স্কালোনিও কথা বলেছেন। ম্যাচের আগে ভেনেজুয়েলায় পর্যাপ্ত সময় না পাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আজই (গতকাল মঙ্গলবার) বিমান ধরতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি। কারণ প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আমরা আগামীকাল (আজ বুধবার) আবার চেষ্টা করব।’ ফ্লাইট বিলম্বের কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজেদের প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস নিয়ে ভ্রমণ করারও চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্কালোনি।
আগামী ১১ অক্টোবর রাত ৩টায় (বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী) ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ম্যাচ আর্জেন্টিনার। তবে নির্ধারিত সময়ে দেশটিতে উড়াল দিতে না পারার আক্ষেপ থাকলেও, বাস্তবতা মেনে নিচ্ছেন স্কালোনি। হারিকেন মিল্টন ঝড় পঞ্চম ক্যাটাগরিতে উন্নীত হওয়ায় ফ্লোরিডায় অনেক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। তাই এই মুহূর্তে নিজেদের নিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে আর্জেন্টিনা কোচ, ‘নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ম্যাচটিও গুরুত্বপূর্ণ, তবে যখন নিরাপত্তা ইস্যু আসে, তখন সেটাই প্রাধান্য পাবে।’
নিজেদের অসহায়ত্ব স্বীকার করে স্কালোনি আরও বলেন, ‘আমাদের জন্য কাজটা কঠিন হবে। ম্যাচের আগেরদিন পৌঁছাব আমরা। যাত্রাপথে মাঝে একটা বিরতিও থাকবে, কারণ আমেরিকা থেকে ভেনেজুয়েলায় সরাসরি ফ্লাইটের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এসব ব্যাপার আসলে আমাদের ওপর নির্ভর করে না। আবহাওয়া ও লজিস্টিকাল ব্যাপার নিয়ে স্রেফ বলতে পারি যে ভাগ্যটা খারাপ। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো ফুটবলারদেরসহ আমাদের সবার নিরাপদে ও সুস্থ থাকা।’