কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বানিজ্যিক ভাবে দুম্বা পালন শুরু করেন দুই যুবক। টার্কি জাতের এ দুম্বার খামার করে তাড়া এখন স্বাবলম্ভী। দুম্বা বিক্রি করে বছরে আয় করে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।
ফেসবুক পেইজের মাধ্যামে বেচাকেনায় ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন খামারী। তাদের এ খামার দেখে দুম্বা পালনে আগ্রহ বাড়ছে অনেকেরই। খামারীকে সর্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছেন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।
উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের বিদেশ ফেরৎ সবুজ ভুইয়া ও তার বন্ধু সোহরাব হোসেন দুজনে মিলে। ঢাকার একটি খামার থেকে টার্কি জাতের দেড় দু মাস বয়সী দুম্বার ৬টি বাচ্ছা এনে লালন পালন শুরু করেন। বাচ্ছাগুলোর ৭ থেকে ৮ মাস বয়স হতেই প্রজন্ম শুরু করে। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে প্রাপ্ত বয়স্ক ৪০ টি দুম্বা। একেকটি দুম্বা বিক্রি হচ্ছে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা। গত দেড় বছরে ১শ বেশি দুম্বা বিক্রি করেছেন এ খামারী। দুম্বার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকায় দুম্বা পালনের তেমন বেগ পেতে হয়না। দুম্বা সাধারণত ঘাষ আর ভুষি পছন্দের খাবার। বাচ্ছা দেবার পর খামারীর “গটফার্ম” নামে ফেসবুক পেইজ আর ইউটিউবে প্রচার করলে সাথে সাথেই বুকিং দিয়ে রাখে অনেকে খামার করার উদ্দ্যেশ্যে। তাই অধিক মুল্যের এই দুম্বা বিক্রি করতে খামারীর কোন চিন্তা করতে হয়না। উদ্যোক্তা দুই বন্ধু অনলাইনের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে এ দুম্বা বিক্রি করে যাচ্ছেন। সরকারি পৃষ্টপোষকতায় আরো বড় পরিসরে দুম্বার ফার্ম করতে চান তাড়া।
এ ধরনের খামার শুধু ভৈরবেই নয় সারা দেশেই খূব একটা চোখে পড়েনা। এ পেশায় মানুষের মাঝে আগ্রহও বাড়ছে। দুম্বার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। তারপরও খামারীকে সার্বিক পরামর্শ ও দুম্বার চিকিৎসা ও নিয়মিত সেবা দিয়ে যাবে বলে জানান , ভৈরব উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান তরফদার।
বেকারত্ব গোচাতে এবং নিজেদের স্বাভলম্ভী করতে লাভজনক এ দুম্বা পালনে করতে পারলে বেকারÍ দুর হবে বলে এমনটাই মনে করেন সাধারন মানুষ ।
এমআর