লক্ষ্মীপুরে ড্রাগন ফল চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার মাজহারুল ইসলাম নাঈম। তার বাগানের ড্রাগন আকারে বড় ও সুমিষ্ট হওয়ায় বাজারে চাহিদাও বেশ। বিশাল বাগানে ড্রাগনের ফলন দেখে ড্রাগন চাষের আগ্রহী হচ্ছেন অনেকে। ভালো ফলন পেয়ে খুশি তরুন এ উদ্যোক্তা।
নাঈম বিইউ থেকে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিএসসি এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের আইসিটি শিক্ষক হিসেবে নিয়জিত রয়েছেন।
জানা গেছে, ২০২১সালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের চর রমনী মোহন গ্রামে ৩একর ২০শতাংশ জমি লিজ নিয়ে খান এগ্রো পার্ক নামের বাগান গড়ে তোলেন মাজহারুল ইসলাম নাঈম। যাতে ড্রাগন সহ কয়েকটি ফলের চাষ করেন তিনি । এতে তার ৩৫লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে বাগানে ড্রাগন ফল এসেছে। প্রতিটি গাছে ঝুলছে লাল রঙের ড্রাগন ফল। ১০-১৫জন শ্রমিক নিয়োমিত কাজ করছেন তার এ বাগানে।
মাজহারুল ইসলাম নাঈম বলেন, শিক্ষকতার পাশাপাশি বাগানে সময় দিচ্ছি। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে ১৫০-২০০টাকায় বিক্রি করছি। এ বছর প্রায় ১৫-২০লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি করেছি। ড্রাগন ছাড়াও কুল, মাল্টা, পেয়ারা, আম সহ উন্নত জাতের নানান রকম ফল চাষ করছি।
স্থানীয়রা জানান, এরআগে আমাদের এলাকায় ড্রাগন ফল চাষ হয় নি। ফলটি খেতে মিষ্টি ও সুস্বাদু। এ বছর অনেক ফলনও হয়েছে। তার দেখাদেখি অন্যরাও উদ্যোগী হওয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়া ড্রাগন বাগান হওয়ায় অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
সমাজসেবক মোহাম্মদ হানিফ বলেন, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার মাজহারুল ইসলাম নাঈম একজন সফল উদ্যোক্তা। তার দেখাদেখি অন্যারাও আগ্রহী হচ্ছে। এতে তরুন সমাজের বেকারত্ব কমবে এবং নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে।
জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মার্কেটিং কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন বলেন, গত কয়েক বছর থেকে নাঈমের ড্রাগন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। যাতে সরাসরি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সহযোগিতা করেছে। বাজারে তার ড্রাগনের চাহিদা রয়েছে। আকারে বড় এবং সুমিষ্ট হওয়ায় বাজার নিয়ে তাকে চিন্তা করতে হচ্ছে না। তারপরও যদি বাজারজাত করতে সমস্যা হয় আমরা তার পাশে থাকবো।
এইচএ