বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) গাজীপুর সার্কেল অফিসের। দুর্নীতি আর অনিয়মের পাশাপাশি এবার বেরিয়ে এসেছে অবৈধভাবে লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার চাঞ্চল্যকর এক তথ্য।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার সরকারি নিয়ম হলো প্রথমে শিক্ষানবীশ (লার্নার) কার্ডের আবেদন করতে হবে। পরবর্তীতে চূড়ান্ত পর্যায়ে আবেদনকারীকে অবশ্যই সশরীরে বিআরটিএ অফিসে উপস্থিত হয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি তোলার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
অভিযোগ উঠেছে জালিয়াতির মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে এক ব্যাক্তিকে লাইসেন্স করে দেওয়া হয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে করিয়ে দেওয়া লাইসেন্স রেফারেন্স নাম্বার হলো -GPNP1759/19।
লাইসেন্স পাওয়া ব্যাক্তির নাম মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার বাসিন্দা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মাহতাবুর রহমান কয়েক বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছে। বিশেষ প্রয়োজনে বিদেশে থেকে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হলে তিনি চুক্তি করেন গাজীপুর বিআরটিএ অফিসের এক কর্মচারীর সাথে। পরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঐ ব্যক্তি বিআরটিএ অফিসে উপস্থিত না হয়ে ছবি থেকে ছবি তোলার মাধ্যমে লাইসেন্স এর কাজ সম্পন্ন করেন। আরও অভিযোগ রয়েছে মাহতাবুর রহমানের পরিবর্তে অন্য এক ব্যাক্তি আঙ্গুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) দিয়ে দিয়েছে।
নির্দিষ্ট একটি সূত্র জানায়, আগে যখন লাইসেন্স করা হতো তখন ডিজিটাল ছিলো না। তাই তাই অফিসে সকল কাগজপত্র সংরক্ষণ করা হতো। এর জন্য একটি প্রক্রিয়া রয়েছে যাকে ভলিউম বলা হয়। যেখানে লাইসেন্স আবেদনকারী ব্যক্তির সমস্ত তথ্য থাকবে।
তবে এই লাইসেন্স এর বিষয়ে তথ্য চাইলে গাজীপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক হারুন অর রশীদ কোন তথ্য দেয়নি। উপস্থিত না হয়ে কিভাবে লাইসেন্স পেয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,নিজে উপস্থিত না হয়ে লাইসেন্স করে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। পরে তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স রেফারেন্স রেখে দেন। তিনি আরও বলেন, এ কাজের সাথে যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিএম