জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবিতে) সংস্কৃতি চর্চার উপর আগ্রাসনের প্রতিবাদে এবং সারাদেশে সুস্থধারার সংস্কৃতি চর্চার পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের মানববন্ধন।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২রা নভেম্বর কিছু বিক্ষিপ্ত মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির মূল মঞ্চে মঞ্চায়ন রত অবস্থায় 'দেশ নাটক' এর 'নিত্যপুরাণ' নাটকটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। মব লিঞ্চিংয়ের ভয়ে মাঝপথে নাটক বন্ধ করে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটে, এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সারাদেশে ২২ টি শিল্পকলা একাডেমিতে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের মত ঘটনা ঘটেছে, এই ঘটনাগুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য হুমকিস্বরূপ যা বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি ধ্বংস করে দিতে পারে, তাই শিল্প-সংস্কৃতি বাঁচাতে ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি কর্মীদের অধিকার রক্ষায় জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
উক্ত মানববন্ধনে, জাবি ডিবেট সোসাইটির সদস্য ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, শিল্প সংস্কৃতির মধ্যে দিয়ে আমরা আমাদের না বলা কথাটুকু বলতে পারি, আমরা প্রতিবাদ করতে পারি,এখন এই সাংস্কৃতিক অঙ্গনটা ধ্বংস করা মানে আমাদের স্বাধীনতায় আঘাত। গান, নাটক করার জন্য যদি আমরা মবের স্বীকার হই তাহলে আমাদের গণঅভ্যুত্থান বৃথা যাবে।
নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী ঐন্দ্রিলা মজুমদার অর্ণা বলেন, ন৫ আগস্টের পরে সারাদেশে শিল্প সংস্কৃতির উপর ব্যাপক হামলা করা হয়েছে, মব জাস্টিসের নামে শিল্পকলায় তালা ও আগুন দেয়ার মত ঘটনা ঘটেছে এসব বন্ধ করতে হবে পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মীদের উপর অত্যাচার নির্যাতন বন্ধ করতে হবে,আমাদের একটি নিরাপদ সাংস্কৃতিক অঙ্গন ফিরিয়ে দিতে হবে।
এ বিষয়ে,জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শরন এহসান বলেন, যারা মবের নামে সংস্কৃতির উপর এমন আগ্রাসন চালিয়েছে, ২রা নভেম্বর শিল্পকলায় দেশ নাটকের শো বন্ধ করে দিয়েছে তারা সহিংসতাকারী, তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে, দেশে মব সংস্কৃতির অবসান ঘটুক, কেউ যাতে শঙ্কা সংশয়ে সময় কাটাতে না হয়, শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চার স্বাধীনতা দিতে হবে,এবং মব আগ্রাসনের নামে সংস্কৃতি কর্মী ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উপর যেন আগ্রাসন চালানো না হয়, তবে সংস্কৃতি অঙ্গনে যদি কোনো আওয়ামী দোসর থাকে তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে,তবে ঐ আওয়ামী দোসরদের টার্গেট করে সংস্কৃতি চর্চায় যেন কোনো আঘাত না আসে।।
এমআর