এইমাত্র
  • মালদ্বীপের সমুদ্র সৈকতে ফের বিয়ে করলেন সানি লিওন
  • গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
  • মালয়েশিয়ায় মানব পাচারের শিকার ৬ বাংলাদেশি উদ্ধার
  • পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হলো সাজেক-খাগড়াছড়ি
  • ২০ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলে উদ্বেগ সিপিজের
  • নওগাঁয় গোবরচাঁপা বাজারে ককটেল বিস্ফোরণ, ৬টি উদ্ধার
  • মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ছয় প্রার্থী
  • ফেরার দুই সপ্তাহ পরে আবারও ইনজুরিতে নেইমার
  • ট্রাম্প নাকি কমলা, কে পাচ্ছেন হোয়াইট হাউসের টিকিট
  • বাউফলে সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত নেতা নিহত
  • আজ মঙ্গলবার, ২১ কার্তিক, ১৪৩১ | ৫ নভেম্বর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    ভালুকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালদের দৌরাত্ম্য

    সাজ্জাদুল আলম খান, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ এএম
    সাজ্জাদুল আলম খান, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ এএম

    ভালুকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালদের দৌরাত্ম্য

    সাজ্জাদুল আলম খান, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ এএম

    ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে দালালদের দৌরাত্ম্য। এতে নানা রকম ভোগান্তি সহ সরকারি হাসপাতালের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা। খরচ হচ্ছে বাড়তি অর্থ, লাভমান হচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিকরা, কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ার অভিযোগ রোগীদের। কমপ্লেক্সে কর্মরত সাব-মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট রবিউল প্রাইভেট ক্লিনিকে বসে নিজেই করেন আল্ট্রাসনোগ্রাম।

    সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে প্রধান ফটক, জরুরি বিভাগসহ একাধিক স্থানে ওতপেতে আছেন স্থানীয় প্রাইভেট ক্লিনিক মালিকদের ‘নিয়োজিত’ দালাল। সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে কৌশলে স্থান ত্যাগ করেন তারা। আবার কেউ কেউ সেজে যান রোগী বা রোগীর স্বজন।

    একাধিক রোগিদের স্বজন অভিযোগ করে বলেন, সরকারি হাসপাতালে পরিক্ষা-নিরিক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকলেও দালালদের খপ্পরে পড়ে সেবা নিতে হচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিক অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।

    অভিযোগ আছে সরকারি হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী হাসপাতালে রোগী দেখার চেয়ে নিজস্ব অথবা চুক্তিবদ্ধ ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখার প্রতি আগ্রহ বেশি। এমনই একজন সরকারি হাসপাতালে কর্মরত সাব-মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট রবিউল।

    রবিউলের নামে একাধিক ভুক্তভোগী রোগী ও রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে কেউ আসলে রবিউলের খপ্পরে পড়লেই তাকে পাঠিয়ে দেন তার নিজস্ব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। আর রোগির পিছন পিছন ওই মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট গিয়ে নিজেই করেন আল্ট্রসনোগ্রাম। এরকম জটিল পরিক্ষা সাব-মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট কিভাবে করে প্রশ্ন রোগীর স্বজনদের? এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি অভিযুক্ত রবিউল।

    তবে হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হাসানুল হোসাইন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, হাসপাতালে তিনি জয়েন করার পর আগের তুলনায় সেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করে হাসপাতালেই বিভিন্ন পরিক্ষা-নিরিক্ষা করছেন। যা এই হাসপাতালে পেতেন না রোগীরা। আর এই উপজেলায় বসবাসরত মানুষের তুলনায় হাসপাতালে যা বরাদ্দ আসে তা যথেষ্ট নয় বলেও জানান তিনি।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…