'ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার' এই গল্পটি আমরা কম বেশি অনেকেই শুনেছি। নিজেকে অনেক কিছু বলে সকলের কাছে জাহির করলেও কাজের কাজ কিছুইনা। ঝালকাঠি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম কি নিধিরাম সর্দার? এমন প্রশ্ন উঠেছে সরকারী এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
টানা ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে ঝালকাঠিতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে মোট মামলার সংখ্যা, জরিমানার অর্থের পরিমান, কারাদন্ড প্রাপ্তদের সংখ্যা এবং কোনো নৌ-যান নিলাম আছে কিনা? তা জানতে চেয়ে সোমবার বিকেল ৪:৫৬ মিনিটে এই প্রতিবেদক জেলা মৎস্য কর্মকর্তার মুঠোফোনে বার্তা পাঠায়। বার্তা পাঠানোর সাথে সাথে তিনি সাড়া দিলেও ঐ সময় থেকে পরদিন সকাল ১১টা পর্যন্ত ১৮ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও তিনি ঐ তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ঘটনা যারা জেনেছেন তারা সবাই মন্তব্য করেছেন এতো অভিযান, এতো আটক, এতো জরিমানা, এতো ছুটোছুটির ছবি প্রকাশ করে শেষমেশ তথ্য দিতে পারেননি। তাহলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম কি গল্পের সেই ঢাল তরোয়াল বিহীন নিধিরাম সর্দার? মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ষোষিত টানা ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে রোববার দিনগত রাত ১২টার পর শেষ হয়েছে সাগর ও নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা।
ঝালকাঠিতে দীর্ঘদিন পর গেলো এক সপ্তাহজুড়ে চলছিলো জেলেদের নানান প্রস্তুতি। জাল, ট্রলার, নৌকাসহ মাছ ধরার সব সরঞ্জাম মেরামত করে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে অনেক স্বপ্ন নিয়ে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে জাল ফেলেছেন তারা। তাদের আশা, কাঙ্ক্ষিত মাছের দেখা মিলবে। কিন্তু সে আশা হতাশায় পরিনত হয়েছে। এর কারন মাছের আনাগোনা কম।
জেলেরা বলছেন নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মৎস্য দপ্তরের ঢিলেঢালা অভিযানের কারনে গেলো ২২ দিনে অব্যাহত ছিলো মৌসুমী জেলেদের ইলিশ ধরার উৎসব। অথচ নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ঝালকাঠি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গনমাধ্যমে নিজেকে জাহির করার জন্য বেশ জোরেসোরে প্রচার চালিয়েছে। মৌসুমী জেলেদের জেল, জরিমানা, জাল জব্দ, নদীতে দিন-রাত ছোটাছুরি, প্রচুর ছবিতোলাসহ নানা কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন বলে তিনি প্রচার করতেন।
ঝালকাঠি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের কাছে "তথ্য দিতে না পাড়ার কারন" জানতে চাওয়া হলে তিনি নিরব থাকেন।
এমআর