পাকিস্তানে কারাগারে থেকেই চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আগামী ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদ অভিমুখে পদযাত্রা করবে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পিটিআই।
ইমরানের আইনজীবী ফয়সাল চৌধুরী বলেন, পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইসলামাবাদ মার্চের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন। এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান কর্মসূচি শুধু ইসলামাবাদেই হবে না, হবে পাকিস্তানজুড়ে। এ ছাড়া ইমরান খানের সমর্থকেরা যেখানে আছেন, সেখানেই বিক্ষোভ হবে।
আর তাতেই আবারও বিশ্বনন্দিত ক্রিকেট কিংবদন্তী এবং পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল সারাদেশ। বিশেষ করে মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গন। এনিয়ে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন সে দেশের মন্ত্রী ও বিরোধী নেতারা।
পাকিস্তানের ‘দ্য ডন’ এবং ‘দ্য প্রিন্ট’ জানিয়েছে, ট্রাম্পের জয়লাভের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই-এর সমর্থকদের মধ্যে আশার আলো জেগে উঠেছে।
‘দ্য ডন দ্য প্রিন্টের’ উদ্ধৃতি দিয়ে রাওয়ালপিন্ডি থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
পিটিআই নেতা সৈয়দ জুলফি বুখারি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি রিপাবলিকান পার্টি,নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা এবং জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ইমরান খানের ওপর দমন-পীড়ন নিয়ে আলোচনা করবো।
তিনি বলেন, ইমরানের প্রতি ট্রাম্পের ‘সফট কর্নার’ রয়েছে। ট্রাম্প ইমরানের কারাবাস নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
তবে পিটিআই’র এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ (নওয়াজ-পিএমএল)। বিষয়টি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র উড়িয়ে দিয়েছেন।
ট্রাম্পের জয়ের পর খানের এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি অভিনন্দন বার্তা পোস্ট করা হয়েছিল। পোস্টে ট্রাম্পকে ইমরানের ‘খুব ভালো বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পোস্টে লেখা ছিল ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আমার ও পিটিআই’র পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে মার্কিন জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।
গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে পাকিস্তান-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ট্রাম্প ভালো হবেন। আমরা আশা করি বিশ্বব্যাপী শান্তি, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি তিনি জোরালো ভূমিকা রাখবেন।
এবি