নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ছাত্রী হল হযরত বিবি খাদিজা হলে শর্ট সার্কিটের কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। মালেক হলের ছেলেরাও গিয়ে আগুন নেভায়। বিকট শব্দে হলের মেয়েরা বাইরে বেরিয়ে আসে। দুইজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে এবং একজন অজ্ঞান হয়ে যায়। পরবর্তীতে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট করে সুস্থভাবে তাকে হলে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে এ ঘটনার কারণে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকল পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
হলের শিক্ষার্থীরা জানায়, ৩য় তলার ২য় ব্লকের দুইটি রুমে কিছু তার পুড়েছে। অন্যান্য রুমের লাইট থেকে শর্ট সার্কিট হয়েছে। আগুন ধরে তার গলে যায় এবং তারের বাইরের পাইপটিও আগুনে গলে গেছে। যে রুমে ঘটনা ঘটেছে সেখানে রান্না হচ্ছিলনা। তবে আশেপাশের রুমে তখন রান্না হচ্ছিল। যার কারণে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরে। গত সপ্তাহেও ৩য় তলার দুটি রুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভোল্টেজ আপ-ডাউন করায় তার পুড়ে যায়।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর মামুন মিয়া বলেন, ইলেক্ট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত। রাত সোয়া ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার কথা শোনার সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। মালেক হলের ছেলেরাও গিয়ে আগুন নেভায়।
৩ তলায় এবং নিচ তলায় শর্ট সার্কিটে কিছু তার পুড়েছে। বিকট শব্দে হলের মেয়েরা বাইরে বেরিয়ে আসে। দুইজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে এবং একজন অজ্ঞান হয়ে যায়। তাকে মেডিকেল টিম সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং
কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট করে সুস্থভাবে তাকে হলে নিয়ে আসা হয়। এই হলটি পুরোনো। হলে যে ক্যাবলগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো দিয়ে হলের ফ্যান, লাইট চালানোর ক্যাপাসিটি রয়েছে। আগের ক্যাবলগুলো স্ট্রং মানের ছিল না। যার ফলে রাইস কুকার, হিটার, ইনডাকশন চালানোর কারণে ক্যাবলগুলো লোড নিতে পারেনা। এখন প্রশাসন এই ক্যাবলগুলোকে স্ট্রং ভাবে ওয়্যারিং করে লাইন দিবে। হলের মেয়েদের জন্য ডায়নিং চালু করে দিবে যেন মেয়েরা ডায়নিংয়ে খাবার খেতে পারে এবং রুমগুলোতে রান্নার পরিমাণ কমে যায়।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ৯টায় বিবি খাদিজা হলের অগ্নি সংযোগস্থল পরিদর্শন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক। পরিদর্শনকালে বৈদ্যুতিক সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী ও দ্রুত সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন এবং হলের অন্যান্য সমস্যা নিয়ে ছাত্রীদের সাথে আজকে একটা মতবিনিময় করবেন বলে জানিয়েছেন।
পরবর্তীতে সকাল ১০টায় হলে পরিদর্শন করেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইসমাইল। উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরা অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে রাইস কুকার ও ইনডাকশন ব্যবহার করে রান্না করে যার ফলে ইলেকট্রিসিটিতে ওভারলোড হয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এ সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীরা চাইলে দ্রুত সময়ের মধ্যে খাদিজা হলের ডাইনিং চালু করা হবে। এছাড়াও আমি ইলেকট্রনিক্স সেকশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে ইলেক্ট্রিক লোড ক্যালকুলেশন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছি। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান হবে।
এআই