সারাদিন চুয়াডাঙ্গায় সূর্য দেখা মেলেনি। ভর দুপুরেও সন্ধ্যার মতো শীতল পরিবেশের মধ্যে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। উত্তর থেকে বয়ে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাস শীতের তীব্রতা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। দিনমজুরদের জন্য স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে, ফলে তাদের আয়ের উৎসও হুমকির মুখে পড়ছে। শীত থেকে কিছুটা উষ্ণতা পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকে, আবার কেউ কেউ পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। তবে এসব প্রচেষ্টা শীতের তীব্রতা থেকে তাদের রক্ষা করতে পর্যাপ্ত নয়, আর এর ফলে তারা চরম কষ্টে পড়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানিয়েছেন, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে সারাদিন আকাশ মেঘলা আছে। এছাড়া বিকালে চুয়াডাঙ্গার কিছু কিছু জায়গায় গুড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। আগামীকালও আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে মেঘলা আকাশ কেটে গেলে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে আরও কমে যাবে, যা শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
শীতের প্রকোপে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে মানবিক সহায়তা ও শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য প্রশাসন ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। শীতের এই সময়ে, বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা শীতের কবল থেকে রক্ষা পায়।
এফএস