শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় বন্যা থেকে রক্ষা জন্য খোয়াই নদীর বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এখনো মেরামত হয়নি। দুশ্চিন্তায় উপজেলার পৌরশহর ও ইউনিয়ন গুলো কয়েক হাজার মানুষ আতংকে রয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাঁধের অনেক স্থানে দুর্বল ও বন্যা সময় বাঁধের ভেতর থেকে পানি চুষে বের হয়। এমন কি কোনো বাঁধে দিকে ছোট-বড় গর্ত থাকলে ও দেবে গেছে। গত আগস্ট মাসে ভারত থেকে নেমে আসা বন্যা পানি খোয়াই নদীর পানি কোনো স্থানে পানি চুষে পড়ে এবং প্রচুর পরিমাণ বালুর বস্তা দিয়ে আটকিয়ে রাখা হয়।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পৌর শহর ও ইউনিয়নবাসী সারা রাত অশান্তি ভাব ও কেউ না ঘুমিয়ে সারারাত খোয়াই নদীর বাঁধ পাহাড়া দিচ্ছে। এ খোয়াই নদীর বাঁধের উপর দিয়ে পৌরবাসী সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নবাসী লোক জন ও স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা ছাত্র চলাচল করে।
খোয়াই নদীর পাশে আশ্রয়ন প্রকল্পে অর্ধ শতাধিক লোক বসবাস করছে। ৪ মাস ধরে খোয়াই নদীর বাঁধ মেরামত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপজেলাবাসী।
এদিকে, শায়েস্তাগঞ্জে খোয়াই নদীর বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ে মেরামত জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করে ও প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে জানায় বাঁধের পাশের এলাকার কয়েকজন লোক।
ঝুঁকিপূর্ণ স্থান দিয়ে খোয়াই নদী বাঁধ ভাঙা দিলে সরকারি অফিস, বেসরকারি অফিস, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, হাটবাজার, রেলওয়ে স্টেশন, মাজার শরীফ, মসজিদ, পুকুর- দিঘির মাছ, কৃষি জমি ও ঘর বাড়ি তলিয়ে যাবে। এতে কয়েক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি সাধন হবে।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাবিবুর রেজা এ ব্যাপারে বলেন, শায়েস্তাগঞ্জ খোয়াই নদীর বাঁধের ঝুঁকি পূর্ণ অংশে মেরামত করার জন্য নকশা প্রণয়ন হচ্ছে।
দরপত্র আহ্বান করে আগামী এক মাসের মধ্যে মেরামত কাজ শুরু হবে বলে আশা করছেন। ১৯৮৮ সালে দিকে বাঁধ গুলো মেরামত হয়েছিল কিন্তু এর পর বরাদ্দ না আসায় নদীর বাঁধ মেরামত করা হয়নি।
এদিকে সরকারি ভাবে খোয়াই নদী থেকে বালু উওোলন জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে সরকারি ভাবে দরপত্র আহবান করে এবং দরপত্র আহবান করে ইজারাদার খোয়াই নদী থেকে বালু উওোলন জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এসব বালু নদী থেকে উওোলন করায় নদী গভীর হওয়ায় বাঁধ ভেঙে যায়নি।
এইচএ