রাজাকারের তালিকা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। আজ বুধবার বিকেলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজাকারের তালিকার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে আমি কোনো ফাইল পাইনি। এখনো আমার কাছে আসেনি। সচিব মহোদয় বলছেন মন্ত্রণালয়ের কাছে এ রাজাকারের তালিকার কোনো কপি, কোনো নথি নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘রাজাকারের তালিকা করতে চাইলেও করা যাবে না। যে রকম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করা যাচ্ছে না। বাস্তবকে অস্বীকার করে তো আমরা কিছুই করতে পারবে না। ৫০ বছর পূর্বে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা এখন কোথায় কে আছে, না আছে-কার কাছ থেকে কী নথি পেয়ে আমরা এগুলো করবে। এটা তো আমার মনে হয় অনেক বেশি দুরূহ কাজ।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শান্তির আওতায় নিয়ে আসার কথা জানিয়ে ফারুক ই আজম বলেন, ‘বহু অভিযোগ আছে যে, মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও অনেকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তালিকাভুক্ত হয়েছেন, গেজেটভুক্ত হয়েছেন এবং সুবিধা গ্রহণ করছেন। আমার দৃষ্টিতে এটা জাতির সঙ্গে প্রতারণা। এটা ছোটখাটো অপরাধ নয়, অনেক বড় অপরাধ। যখন নির্ণিত হবে তাদের তো বাতিল করবেই, প্রয়োজনীয় সাজার ব্যবস্থা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অমুক্তিযোদ্ধা যারা এখানে তালিকাভুক্ত হয়েছে, আমরা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সুনির্দিষ্ট করলে তাদের ব্যাপারেও একই রকমের ব্যবস্থা হবে। আমরা একটা ইনডেমনিটিও হয়তো দেব যে যারা অমুক্তিযোদ্ধা এভাবে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে এসেছেন, তারা যেন স্বেচ্ছায় এখান থেকে চলে যান। তাহলে হয়তো সাধারণ ক্ষমাও পেতে পারেন।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স মন্ত্রণালয় থেকে ১২ বছর ৬ মাস নির্ধারণ করা আছে। এর চেয়ে কম বয়সী আছেন ২ হাজার ১১১ জন। এরা তালিকা থেকে বাদ যাবেন।
এফএস