চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজের সিটের নিচ থেকে ২০টি স্বর্ণের বারসহ এক যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৮ উড়োজাহাজটি জব্দ করা হয়। স্বর্ণ চোরাচালান চক্রে ওই ফ্লাইটের ক্রু-কর্মকর্তারা জড়িত থাকার অভিযোগে সেটি জব্দ করা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিনহাজ উদ্দিন পাহলোয়ান এসব কথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ফ্লাইটটি জব্দ করা হয়েছে। তবে অফিসিয়ালি জব্দ হলেও ফ্লাইট পরিচালনা করতে কোনো সমস্যা নেই।
জানা গেছে, দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৮ উড়োজাহাজের ৯-জ সিটের নিচে প্লাস্টিক টেপ দিয়ে মুড়িয়ে বিশেষ কায়দায় লুকানো ছিল ২ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ২০টি স্বর্ণের বার। আজ সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে যৌথ অভিযানে ওই সোনা উদ্ধার করা হয়। তদন্তের স্বার্থে এ ঘটনায় জড়িত যাত্রীর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
মিনহাজ উদ্দিন পাহলোয়ান বলেন, ‘একজন যাত্রীর পক্ষে বিমানের সিট কেটে গোপনে স্বর্ণ রাখা সম্ভব নয়। উদ্ধার করা ২০টি স্বর্ণের বার যেভাবে রাখা হয়েছে, তাতে আমাদের সন্দেহ হয়েছিল; এখানে বিমানের কেউ জড়িত না থাকলে এভাবে স্বর্ণ রাখা সম্ভব নয়। তাই আমরা আটক যাত্রীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরবর্তীতে ওই ফ্লাইটকে জব্দ করা হয়, যাতে বিমানের ক্রু এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়।’
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এনএসআই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর টিম, বিমানবন্দর নিরাপত্তা শাখা এবং শুল্ক গোয়েন্দা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে স্বর্ণগুলো উদ্ধার করে। পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে স্বর্ণগুলো শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ২ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের এসব বারের বাজার মূল্য ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আটক যাত্রীর বিরুদ্ধে নগরীর পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এফএস