পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৪ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি তীব্র বিষধর শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার করেছে এনিমেল লাভার্স অফ পটুয়াখালীর সদস্যরা।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মজিদপুর গ্রামের কাজেম আলী হাওলাদারের ধানক্ষেতের জালে পেঁচানো অবস্থায় সাপটি উদ্ধার করা হয়।
সাপ ও বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা এ্যানিমেল লাভারর্স অফ পটুয়াখালীর উদ্ধারকর্মী মাসুদ হাসান জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমাদের ফোনে একটি কল আসে, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি কালোর মধ্যে হলুদ ডোরা এ সাপটি ধানক্ষেতে কৃষকের জালে তীব্র বিষধর শঙ্খিনী সাপ আটকা পড়ে আছে, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাপটিকে উদ্ধার করে। প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করি। এটি স্থানীয়দের কাছে দু'মুখো সাপ নামেও পরিচিত।
কৃষক কাজেম আলী জানান, আমার বাড়ি পাশের ধানক্ষেতের জালে সাপটি আটকা পড়ে। আমরা স্থানীয়রা সাপটি মেরে ফেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বন্যপ্রানী নিয়ে কাজ করা সদস্যরা এসে সাপটি উদ্ধার করে এবং এটি একটি উপকারী সাপ এটা মারা যাবেনা বলে জানায়।
এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর টিম লিডার রাকায়েত আহসান জানান, শঙ্খিনী সাপ মূলত শান্ত ও লাজুক স্বভাবের। সাধারণত এসব সাপ মানুষ এড়িয়ে চলে। এমনকি বিরক্ত করলে শরীর পেঁচিয়ে মাথা শরীরের নিচে লুকিয়ে রাখে। বলা যায় মানুষের জন্য হুমকি স্বরূপ নয় মোটেও। তবে শিকারে বেশ দ্রুত। অন্য বিষাক্ত সাপ খেয়ে সাবাড় করে।
তিনি আরও বলেন, সাপটি উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে, প্রাকৃতিক পরিবেশে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। চলতি বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বেশ কয়েকটি এ জাতীয় সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
এআই