যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা মাঠে লাইসেন্স না নিয়ে অবৈধভাবে সৌর সেচ পাম্প কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় হুমায়ুন কবীর বাবুর প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ কাজটি করছেন। এতে লাইন্সেকৃত দুই কৃষকের সেচ কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
ভুক্তভোগী কৃষক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, চলতি বছরে ২৯ ফেব্রুয়ারি বাগডাঙ্গা মৌজার বাগডাঙ্গা খতিয়ানের ৫৬০ দাগ ৭৫ একটি সেচ পাম্পে লাইসেন্স নিয়ে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করি। আমার লাইসেন্স নং ২০২৩-২৪/৩৩৪ সাইজ ০.৫ কিউসেক। কিন্তু একই এরিয়ার মধ্যে হুমায়ুন কবির বাবু লাইসেন্স না নিয়ে আমার সেচ পাম্পের ৩৫০ থেকে ৪০০ ফিটের ভিতরে আরও একটি সেচ পাম্প স্থাপন করেছে। এতে করে আমার সেচ প্রকল্পের আওতা কমে গেছে। মাঠে পানি দিতে পারছি না।
আরেক ভুক্তভোগি কৃষক আমিন উদ্দিন জানান, আমার ১০ কিউসেক লাইসেন্স নেয়া। আমার এড়িয়ার ৭শ’ ফিটের মধ্যে সেচ কার্যক্রম চালাচ্ছে। ফলে পানির লেয়ার কম পাচ্ছে। এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেশি।
কয়েকজন সাধারণ কৃষক বলেন, আমার আগে ঠিক মতো পানি পেতাম। ফসল চাষ করতে সুবিধা হচ্ছিল। কিন্তু হুমায়ুন কবীর বাবুর সৌর সেচ পাম্প কার্যক্রম চালানোর কারণে পানি পাচ্ছি কম। জমি ভিজাতে সময় লাগছে বেশি এবং খরচ বেড়েছে।
এই বিষয়ে হুমায়ুন কবীর বাবু সাংবাদিকদের জানান, আমি সেডের ভিতরে চাষের জন্য বিএডিসি থেকে সৌর প্লান্ট দেয়। সেই সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আমি সেডের ভিতরে চাষ কার্যক্রম পরিচালনা করছিলাম। পরে কৃষকদের কথা ভেবে আমি সেডের বাহিরে সাধারণ কৃষককের জমিতে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বিএডিসি থেকে কোন লাইসেন্সে নেয়নি। সেডের ভিতরে চাষের পাম্প দিয়ে এতদিন বাহিরে পানি দিয়েছি।
যশোর বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী (সৌর) সোহেল রানা বলেন, হুমায়ুন কবীর বাবু কোন লাইসেন্স দেয় হয়নি। আমি নির্দেশ দিয়েছি পাইপ তুলে নেয়ার জন্য। নির্দেশ অমান্য করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এআই