কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণকারীরা ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার পর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছৈয়দ হোছাইন নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করেছে। অপহৃত ব্যক্তি হচ্ছে-টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত বড়ডেইল এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্বাস মিয়া'র পুত্র। সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী।
অপহৃত ব্যক্তির পরিবার সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে অপহরণে জড়িত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের একটি দল গহীন পাহাড় থেকে নেমে এসে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করার পাশাপাশি অপহৃত ব্যক্তির ঘরের ভিতর প্রবেশ করে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে পাহাড়ের দিকে নিয়ে গেছে ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে, নুর হোসন নামে স্থানীয় এক যুবক সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পর গহীন পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা অস্ত্রধারী ডাকাতদলের সদস্যরা পাহাড় থেকে নেমে এসে নেমে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাজমিস্ত্রী ছৈয়দ হোছাইনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।লাগাতার অপহরণের ঘটনায় অত্র এলাকার বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতায় এবং আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
এবিষয়ে বাহারছড়া ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নুরুল ইসলাম সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে একটি বসতবাড়িতে প্রবেশ করে একজনকে তুলে নিয়ে গেছে বলে শুনেছি। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার দিনের বেলায় আরও দুইজনকে ধরে নিয়ে গেছে। তাদেরকে গহীন পাহাড়ে আটকে রেখে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এব্যাপারে বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়নের পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন, ফাঁকা গুলিবর্ষণের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশের একটি দল। অভিযান পরিচালনা করেছে। যা এখনও চলমান রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য-মাত্র ৭৪ ঘন্টার ব্যবধানে টেকনাফ উপজেলা পাহাড়ী সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩০ জন অপহৃত শিকার হয়েছে। এর মধ্যে অপহৃত হওয়া ২৬ জন স্ব শরীরে নিজ ঘরে ফিরে এসেছে। বাকি ৪ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে ৭৫ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর মুদি দোকানদার জসিমকে এখানো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। অপহরণ চক্রের সাথে জড়িত অপহৃত ব্যক্তির পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করছে বলে স্থানীয়রা স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ী এলাকা সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক।
পিএম