এইমাত্র
  • বিশ্বের দীর্ঘতম চালকবিহীন ট্রেন চালু করল সৌদি
  • মেট্রোরেলের সেবায় ভ্যাট অব্যাহতি
  • সিএনজি থেকে নামিয়ে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
  • কেউ সচেতন ভাবে কাজ করতে আসে না, তারা আসে ফায়দা লুটতে: প্রয়াত অভিনেতা প্রবীর মিত্র
  • শহীদ পরিবার ও আহতদের আজীবন পুনর্বাসন করা হবে: নাহিদ
  • বিচার ব্যবস্থা এনালগ করে রেখেছেন পলককে আদালত
  • সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর ও তার স্ত্রীর নামে দুর্নীতির ২ মামলা
  • অনুমতি পেলে ভারতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে স্বাধীন তদন্ত কমিশন
  • বিরামপুরে মাদক সেবনের দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
  • বিদেশি বিনিয়োগ টানতে ‘অর্থনৈতিক কূটনীতির’ তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
  • আজ সোমবার, ২৩ পৌষ, ১৪৩১ | ৬ জানুয়ারি, ২০২৫
    জাতীয়

    ১২০ দেশের সংবিধান বিচার-বিশ্লেষণ করে যেসব প্রস্তাবনা দিতে যাচ্ছে কমিশন

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম

    ১২০ দেশের সংবিধান বিচার-বিশ্লেষণ করে যেসব প্রস্তাবনা দিতে যাচ্ছে কমিশন

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম

    ১২০টি দেশের সংবিধান বিচার-বিশ্লেষণ ও রাজনৈতিক দলসহ সমাজের বিভিন্ন মহলের প্রস্তাবকে আমলে নিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবনা। নতুন বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেবে সংবিধান সংস্কার কমিশন।

    বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ২৫ নয়, ২১ বছরেই করা যাবে নির্বাচন, সংসদ হবে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট, দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়, এককেন্দ্রিক ক্ষমতা ঠেকাতে নানা প্রস্তাবনা দিতে যাচ্ছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদসহ বিতর্কিত ধারা বাতিলও থাকছে তাদের প্রস্তাবে। তবে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা কাগজ-কলমের এসব সংস্কার বাস্তব রূপ দিতে রাজনৈতিক ঐক্যের উপর জোর দিচ্ছেন।

    স্বাধীনতার পর থেকে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে বারবার সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করেছে বিভিন্ন সরকার। সংসদীয় ব্যবস্থা পাল্টে একদলীয় ব্যবস্থা কিংবা সমরিক শাসনকে বৈধতা দিতে ব্যবহার করা হয়েছে সংবিধানকে। বিগত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য পঞ্চদশ সংশোধনীসহ বেশ কয়েকবার সংবিধানে পরিবর্তন আনে । সবমিলিয়ে ’৭২-এর সংবিধানে ১৭ বার পরিবর্তন আনা হয়েছে।

    গত ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান পরিবর্তনের পথে হাঁটা শুরু করে। এতে পুনর্লিখন নাকি সংস্কার, তা নিয়ে বিভিন্ন মহরে নানান মতভেদ রয়েছে। ৬ অক্টোবর গঠন করা হয় সংবিধান সংস্কার কমিশন। ৩ মাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের কারোর কারোর মতামত নিয়েছেন সদস্যরা।

    কমিশন প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আলী রীয়াজ বলছেন, বিভিন্ন পক্ষের প্রস্তাবনা এবং ১২০টি দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করে সংস্কার প্রস্তাবনা প্রস্তুত করা হয়েছে। পুনর্লিখন না হলেও কার্যকর সংস্কারের মাধ্যমে গণ-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের আশা করছেন তিনি।

    তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। জবাবদিহির ব্যবস্থা চাই। সেই উদ্দেশ্যকে সামনের ভাগে রেখে অংশীজনদের একটা বড় অংশ কথা বলেছেন। তাদের আকাঙ্ক্ষা ও চিন্তা-ভাবনাকে সমন্বয় করার চেষ্টা করছি।

    তিনি বলেন, কমিশনের লক্ষ্য হলো একনায়কতন্ত্র ঠেকাতে ক্ষমতার ভারসম্য আনা। তার আলোকেই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থার প্রবর্তন, দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়াসহ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসম্য বজায় রাখার প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।

    সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, অনেক ধরনের মতের প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের একটা ভূমিকা থাকে। তাই এটাকে একটা ইতিবাচক হিসেবে আমরা বিবেচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর বেলায় একটা জবাবদিহি তৈরি করতে হবে। তরুণদের দেশ গঠনের সুযোগ দিতে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার বয়স ৪ বছর কমিয়ে ২১ বছর করা হচ্ছে। এ ছাড়াও সংবিধানের বিভিন্ন বিতর্কিত ধারা বাদ দেয়ার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা রয়েছে।

    আলী রীয়াজ বলেন, সংসদ সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান বয়স ২৫ বছর রয়েছে। সেটি কমিয়ে ২১ বিবেচনা করেছি। সংবিধান ১৯৭২ সাল থেকে যে ১৭টি সংশোধন হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় রেখেছি যে এগুলোর শেষ পর্যন্ত কী লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।

    এদিকে সংবিধান বিশেষজ্ঞ আহসানুল করিম এসব সংস্কার প্রস্তাবনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও তা কার্যকর হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন। তিনি রাজনৈতিক ঐকের ওপর জোর দিয়েছেন।

    আহসানুল করিম বলেন, কী সংস্কার হবে, এ ব্যাপারে প্রতিটি দলকে একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জনগণের কথা চিন্তা করে প্রতিটি দলকে এমনভাবে একমত হতে হবে, যাতে সংস্কারের ব্যাপারে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে যে সরকারই থাকুক না কেন, তাদের যেন একটা দায়বদ্ধতা থাকে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রস্তাবনা শেষে সব অংশীজনের মতামত নিয়েই চূড়ান্ত সংস্কার প্রস্তাবনা তৈরি করবে।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…