হাসপাতালে ভর্তির আগে টানা ১৫ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান। ওষুধ খেয়েও কাজ হচ্ছিল না। শেষে জানা যায় তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত এক সপ্তাহ ধরে সিসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার (১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে অঞ্জনাকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়।
আজ দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন গুণী এ অভিনেত্রী। তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন তথা এফডিসিতে। শেষবারের মতো এই চিত্রনায়িকাকে দেখতে ছুটে আসেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। জোহরের নামাজের পর প্রথম জানাজা শেষে অভিনেত্রীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখানে ২য় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অভিনেত্রীকে ঢাকার বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। শনিবার(০৪ জানুয়ারী) বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন অভিনেত্রীর ছেলে নিশাত রহমান মনি।
আজ মধ্যরাতে গুনী এই অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। অভিনেত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় তারকাদের মাঝে চলছে শোকের মাতম । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের পাশাপাশি তারকারা শোকবার্তা জানিয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছেন মেগাস্টার শাকিব খান, চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, শাবনূর, জয়া আহসান, পূজা চেরী, সাইমন সাদিক প্রমুখ।
গেল ডিসেম্বরের শুরুতে জ্বরে আক্রান্ত হন অঞ্জনা। জ্বর না কমলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। কয়েকটি পরীক্ষার পর রক্তের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তবে অসুস্থতার কথা অঞ্জনা জানাতে চাননি।
এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে অঞ্জনাপুত্র বলেছিলেন, 'আমার আম্মুই চাননি তার অসুস্থতার কথা কাউকে কিছু বলি। উনি ভেবেছিলেন, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। অযথা নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে কাউকে দুশ্চিন্তায় ফেলতে চাননি।'
সেসময় দেশের একটি বেসরকারি হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) তার চিকিৎসা চলছিল তার। পরে তাকে স্থানন্তরিত করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ সুপরিচিত মুখ ছিলেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করা একমাত্র দেশীয় চিত্রনায়িকাও তিনি।