নীলফামারীতে মেয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে অটোরিকশার ধাক্কায় মো. মুজিবর রহমান (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (০৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মো. মুজিবর রহমান ওই ইউনিয়নের সুখধন প্রিন্সিপাল পাড়া গ্রামের মৃত মো. মফিজ মুন্সির ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, পাশেই মুজিবুর রহমানের মেয়ের বাসা। সন্ধ্যায় তার মেয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে রামগঞ্জ-নীলফামারী সড়কের সুখধন বাইতুল ফালা জামে মসজিদের সামনে সড়ক পার হতে গিয়ে দ্রুতগতির অটোরিকশার ধাক্কায় মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে আহত হন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় তুলে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। স্বজনরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুরে নেওয়ার পথে তারাগঞ্জ পৌঁছালে গাড়িতেই তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, ‘নীলফামারী-রামগঞ্জ সাত কিলোমিটারের এই সড়কে কোন গতিরোধক বিট নেই। ব্যস্ততম এই সড়ক ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এই সড়ক দিয়ে ট্রাক, অটোরিকশা, অটোভ্যান ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের দ্রুতগতির কারণে প্রায়ই ছোট বড় সড়ক দুর্ঘটনা গুলো ঘটছে। আমরা চাই এই সড়কের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোতে গতিরোধক বিট দেওয়া হোক।’
স্থানীয় মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সম্পর্কে আমার দাদা হয়। খুবই সৎ পরহেজগার মানুষ ছিলেন। তাকে কোনদিন কেউ আগে সালাম দিতে পারত না, তিনিই আগে সালাম দিতেন। আমার জানামতে কোনদিন নামাজ কাযা করতেন না। লাঠি ভর করে মসজিদে আসতেন। খুব ভালো মানুষ ছিলেন। আল্লাহ তাআলা তার নেক আমলগুলো কবুল করুক। দুনিয়াবী ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে, জান্নাতের বাসিন্দা হিসাবে কবুল করুক।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে টুপামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মছিরত আলী শাহ বলেন, ‘গতকাল রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নিজ গ্রামে জানাযার নামাজ শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।’
নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, ‘রামগঞ্জের সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে আমরা কোন ধরনের অভিযোগ পাইনি।’
এআই