এইমাত্র
  • লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া
  • বিমানবন্দরে খালেদা জিয়া, রাতেই যাচ্ছেন লন্ডন
  • ফেলানী হত্যার ১৪ বছর, বিচার দেখে মরতে চান বাবা-মা
  • নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত খালেদা জিয়া
  • খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন যারা
  • এবার সিলেট যাচ্ছেন আজহারী
  • সাত বছর পর দেখা হবে মা-ছেলের
  • শেখ হাসিনাসহ ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল
  • বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া
  • ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
  • আজ বুধবার, ২৪ পৌষ, ১৪৩১ | ৮ জানুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    কটিয়াদীতে শিশুদের মোবাইল আসক্তি বাড়ছেই

    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম

    কটিয়াদীতে শিশুদের মোবাইল আসক্তি বাড়ছেই

    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম

    খেলনার বদলে শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে মুঠোফোন আর এভাবেই ধীরে ধীরে স্মার্ট ফোনে আসক্ত হয়ে ওঠেছে শিশুরা৷ ফলে মানসিক ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছেই৷ ছোট থেকেই ফোনের দিকে আকৃষ্ট হওয়া শিশুরা বড় হয়ে লেখাপড়ার প্রতিও অমনোযোগী হয়ে পড়ছে৷ এসব বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই অভিভাবকদের৷

    এছাড়াও পরিবার শিশুদের বাড়তি সময় না দেওয়া। খেলাধুলার প্রতি উৎসাহীত না করা এবং উঠতি বয়সের শিশুদের জন্য খেলার মাঠের সংকটও দায়ী৷ বিশেষ করে মোবাইল ফোনে শিশুদের জন্য রয়েছে নানান খেলাধুলার সফটওয়ার৷ অনেক পরিবার অচেতনতায় শিশুদের খুশি রাখতে এগুলো দেখিয়ে শান্ত রাখতে চান৷ আবার অনেকসময় দেখাদেখিও এই মোবাইল খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ছে শিশুরা। এছাড়াও রয়েছে বাহারি অনেক রকমের চোখধাঁধানো আইটেম৷

    কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা সহ দেশের প্রায় সবখানেই শিশুদের স্মার্ট ফোনের আসক্তি বাড়ছেই। এতে শিশুদের চোখ সহ স্বাস্থ্যের নানান সমস্যা নিয়ে উদ্বীগ্ন অভিভাবকদের মধ্যে৷

    অভিভাবক আবু ইউসুফ সুমন বলেন, আমার ছোট ছেলের বয়স চার। সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে। ফোন হাত থেকে নিলেন কান্নাকাটি শুরু করে৷ এই ফোনটাই যেনো তার খেলার সাথী৷ এইটা নিয়ে খুব চিন্তার মধ্যে আছি৷ দিনদিন সমস্যা যেনো বাড়ছেই।

    চক্ষু চিকিৎসার সাথে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেকোনো ডিভাইস বড়দের ক্ষেত্রে যতটা না ক্ষতি করছে, শিশুদের তার চেয়ে বেশি করছে। একটা শিশুর প্রথম তিন বছরে খুবই র‌্যাপিড বিকাশ হয়। এই বিকাশটা নির্ভর করে নিউরনের বৃদ্ধির ওপর। কারণ প্রথম তিন বছরে শিশুর ৫০ শতাংশ এবং পাঁচ বছরে ৯৫ শতাংশ বিকাশ হয়। কিন্তু এ সময়ে যদি শিশুরা মোবাইল ফোন ধরে তাহলে তার যে বিকাশ হওয়ার কথা তা হয় না। তার আচরণেও সমস্যা তৈরি হয়। চোখের সমস্যা, মাথা ব্যথা, ঘাড়ের সমস্যা হয়। পড়ালেখায়ও মন বসে না। ৪৫ মিনিটের বেশি কেউ মোবাইল ফোন দেখলে লেজি আই বা ড্রাই আই রোগ হতে পারে।

    কলেজ শিক্ষক আব্দুর রশীদ বলেন, এ জন্য মোবাইল ফোন দেখতে দিয়ে শিশুদের খাওয়ানো যাবে না। কান্না করলেই মোবাইল ফোন দেওয়া যাবে না। খেলনা দিতে হবে। শিশুসন্তানকে মা-বাবা উভয়ের সময় দিতে হবে। সুযোগ থাকলে বিকেলে খেলার জন্য মাঠে নিয়ে যেতে হবে। ইনডোর গেমসে বাচ্চাকে সময় দিতে হবে অভিভাবকদের।

    কিশোরগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের ডি.এম.এফ ডাক্তার অপথালমিক অপ্টোমেট্রিস্ট মিঞা মো. রায়হান বলেন, শিশুদের চোখের সমস্যা, তার মধ্যে অন্যতম রোগ হচ্ছে, চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া, কাছে বা দূরে ঝাপসা দেখা, অতিরিক্ত ফোন ব্যাবহার করায় ,মোবাইল ফোন এর অতিরিক্ত উজ্জ্বল আলোর জন্য চোখের পানি শুকিয়ে যায় যার কারনে ফোটফবিয়া নামক চোখের একধরনের রোগ দেখা দেয়। যার কারণে চোখ আলোর দিকে তাকানো যাই না, রোদ্রউজ্জ্বল আবহাওয়া তে চোখ বন্ধ হয়ে যায়।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…