জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সামনে থেকে বাস ও লেগুনাস্ট্যান্ড সরানোর জন্য তিনদিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার চত্বরের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হকের ওপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং হামলার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় শিক্ষকরা বলেন, ‘আগামী তিন দিনের ভেতরে এই আক্রমণের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে এবং তিন দিনের মধ্যে রায়সাহেব বাজার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে থাকা সব বাস ও লেগুনাস্ট্যান্ড অপসারণ করতে হবে।’
তাঁরা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আক্রমণ। আমরা প্রক্টর স্যারের ওপর আক্রমণের ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। আক্রমণের সময় আক্রমণকারীরা বলেছিল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাইনি শিক্ষকদের পেয়েছি, মার তাদের। এটা পরিকল্পিত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য হুমকি স্বরূপ।’
এ সময় জবির শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদদীন বলেন, ‘অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হকের ওপর আক্রমণ আওয়ামী প্রেতাত্মাদের পরিকল্পিত আক্রমণ হতে পারে। একটি তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক-শিক্ষার্থী এ আক্রমণের সঙ্গে জড়িত কি না তা খুঁজে বের করতে হবে।’
জবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা কাম্য ছিল না। আমরা যেসব দাবি জানিয়েছি, তা পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবার নিরাপত্তায় শিক্ষক সমিতি সব সময় সোচ্চার থাকবে।’
গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাতটায় পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার মোড় সংলগ্ন বংশালে জবির প্রক্টর ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হকের গাড়িতে হামলা করেন দুর্বৃত্তরা। এ সময় প্রক্টর ও গাড়ির দুজন ড্রাইভার আহত হন।
এমআর