যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা টানা ছয় দিন ধরে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে। এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪–এ পৌঁছেছে। তবে দাবানল কমার আশার আলো দেখা যাচ্ছে না, বরং বিপজ্জনক ঝোড়ো বাতাসের গতি বাড়ার সতর্কতা জারি করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, দাবানলে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরের বড় অংশ কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন হাজারো মানুষ। প্যালিসেইডস দাবানলের বিস্তার ঠেকাতে অগ্নিনির্বাপণের ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে দাবানল ব্রেন্টউড এবং অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ সান ফার্নান্দো উপত্যকার দিকে ছড়িয়ে পড়ছে।
আগামী কয়েক দিনে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে খারাপের দিকে মোড় নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ দিনের শুরুতে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটারের বেশি উঠতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা। এটা হলে পিডিএস বা ‘সুনির্দিষ্ট বিপজ্জনক পরিস্থিতি’ ঘোষণা করা হতে পারে।
অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা সতর্ক করে বলছেন, বাতাসের এমন ঝোড়ো গতি দাবানলের শিখা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এর কারণে নতুন নতুন এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের প্রধান অ্যান্টনি মারোনি বলেন, তার বিভাগ আগুন নেভানোর কাজে পানি পরিবহনের জন্য কয়েক ডজন নতুন ট্রাক আর অগ্নিনির্বাপণকর্মী পেয়েছে। নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত।
অন্যদিকে মৃত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির শেরিফ রবার্ট লুনা আশঙ্কা করছেন। তিনি জানান, মৃতদেহের সন্ধানে তল্লাশি কার্যক্রম চলছে। এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর। দাবানলের কারণে সংকটময় এ পরিস্থিতিতেও চলছে লুটপাট। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের পোশাক পরে লুটপাটে অংশ নিয়েছিলেন।
ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদারের স্বার্থে দাবানলে পরিত্যক্ত এলাকাগুলোয় রাতের বেলার কারফিউর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের অনুরোধও করা হয়েছে।
এবি