কুয়াশার দাপট পরাস্ত করে গগণ চিরে সূর্য উঁকি দিলেও থেমে নেই রাজধানীর বায়ুদূষণ। শুষ্ক আবহাওয়ায় ক্রমেই যেন ঢাকার বাতাসে বাড়ছে দূষণের মাত্রা। এই অবস্থায় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৫ শহরের মধ্যে শীর্ষ ২ নম্বরে উঠে এসেছে রাজধানী।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার সূচক থেকে এ তথ্য জানা যায়। আইকিউএয়ার বাতাসের মান নিয়ে লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক প্রকাশ করে। যা একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়ার পাশাপাশি সতর্ক করে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় আইকিউএয়ার সূচকে সবার শীর্ষে আছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি। শহরটির বাতাসের মানের স্কোর ২৫৯। বাতাসের এই মান নাগরিকদের জন্য ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে ধরা হয়। পাশাপাশি ২৫১ স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষ দুইয়ে অবস্থান করছে রাজধানী। এই মানও নাগরিকদের জন্য খুবই অস্বাস্থ্যকর হিসেবে ধরা হয়। এই অবস্থায় নগরবাসীকে জানালা বন্ধ রাখার পাশাপাশি ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৫ শহরের মধ্যে তালিকার শীর্ষ তিন নম্বরে আছে ভিয়েতনামের হ্যানয়। শহরটির বাতাসের মানের স্কোর ২১৭। বাতাসের এই মানও নাগরিকদের জন্য ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে ধরা হয়।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে ধরা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
উল্লেখ্য, ঢাকার বায়ুদূষণ ঠেকাতে সম্প্রতি নানা উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এর অংশ হিসেবে আসন্ন বর্ষায় রাজধানীর সড়ক বিভাজকগুলো ঘাস দিয়ে ঢেকে দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এবি