দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দুর্দান্ত জয়ের একদিন পর বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অতীশি পদত্যাগ করেছেন।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার সাথে দেখা করে তার পদত্যাগপত্র হস্তান্তর করেন আম আদমি পার্টির (আপ) এই নেতা। পরে সাক্সেনা রাজধানীর সপ্তম বিধানসভা ভেঙে দিয়েছেন।
শনিবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ৭০ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপি ৪৮টি আসন পেয়েছে, যদিও ২০২০ সালে দলটি পেয়েছিল মাত্র আটটি আসন। ওই নির্বাচনে ৬২টি আসন জিতেছিল আপ। এবার তারা আসন পেয়েছেন মাত্র ২২ টি। তবে রাজধানীতে কোনো আসনে জয়ের মুখ দেখেনি কংগ্রেস।
নির্বাচনে আপের জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সিনিয়র নেতা মণীশ সিসোদিয়া এবং সৌরভ ভরদ্বাজসহ শীর্ষ নেতারাও হেরে গেছেন। শুধুমাত্র অতীশি তার আসন ধরে রাখতে পেরেছেন।
এদিকে ২৬ বছরেরও বেশি সময় পর দিল্লিতে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। জয়ের পর দলীয় কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে দিল্লির ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন বিজেপি তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে এবং দিল্লিকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাবে।
অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে ফেরার পর আগামী সপ্তাহে একটি জমকালো শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের ওই শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছে সূত্র। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা রোববার জাতীয় রাজধানীতে সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা করতে বৈঠক করেছেন। ফলাফল প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী মোদিও গত রাতে অমিত শাহ এবং নাড্ডার সাথে কথা বলেছেন।
প্রায় পাঁচ মাস দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অতীশি। দিল্লির এখন বাতিল করা মদ নীতির সাথে যুক্ত দুর্নীতির মামলায় জামিন পাওয়ার পর কেজরিওয়াল শীর্ষ পদ ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন, পরে অতীশি গত বছরের সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন ‘জনতার আদালতে’ রায়ের পর তিনি আবার শীর্ষ পদে ফিরবেন।
আপের খারাপ ফলাফলের এবং নয়াদিল্লি নিজ আসনে পরাজয়ের পরে, কেজরিওয়াল বলেছেন, তিনি জনগণের ম্যান্ডেট মেনে নিয়েছেন। তার কথায় "দিল্লি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে এবং আমরা জনগণের রায়কে মেনে নিয়েছি। জনগণের সিদ্ধান্তই সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিজেপিকে তার বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানাই এবং আমি আশা করি যে এটি জনগণের আশা ও প্রত্যাশা পূরণ করবে যারা তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে।"
এবি