এইমাত্র
  • রোহিঙ্গাদের সহায়তা কমে যাওয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ
  • চলতি বছরেই বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসবে ভারত
  • ক্ষোভে ফুঁসছে মাগুরাবাসী, ধর্ষকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো জনতা
  • উখিয়ার ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিব, কথা শুনলেন রোহিঙ্গাদের
  • রূপগঞ্জে চকলেট কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ
  • গ্রিনল্যান্ডের দখল আমাদের লাগবেই: ট্রাম্প
  • প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে : রিজভী
  • সুন্দরবনে ২৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, আটক ৫
  • মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৫
  • গাজায় ফের ইসরায়েলের হামলা, ২ শিশুসহ নিহত ৪
  • আজ শনিবার, ৩০ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ১৫ মার্চ, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    প্রশান্তির ছায়া সৌন্দর্য দিয়ে হৃদয় জয় করে পলাশ গাছটি

    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম
    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম

    প্রশান্তির ছায়া সৌন্দর্য দিয়ে হৃদয় জয় করে পলাশ গাছটি

    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম

    পলাশ ফুলের গেলাস ভরি, পিয়াব অমিয়া তোমারে প্রিয়া। চাঁদিনি রাতের চাঁদোয়া-তলে, বুকের আঁচল দিব পাতিয়া। নয়ন-মণির মুকুরে তোমার দুলিবে আমার সজল ছবি, সবুজ ঘাসের শিশির ছানি মুকুতা-মালিকা দিব গাঁথিয়া। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত এই কবিতার মতো সৌন্দর্য মুগ্ধতা ছড়ানো দৃশ্য দিয়ে হৃদয় জয় করা এক পলাশ গাছ। শতবর্ষের বেশি পুরনো এই বহুরূপী সৌন্দর্যের গাছটি সহজেই মানুষের মনকে আকৃষ্ট করে৷ জীর্ণ মনকে সতেজ করে তুলে৷

    লাল মাটি আর সবুজ গাছগাছালিতে ভরপুর অনিন্দ্য সুন্দর এক গ্রাম। কোথাও উঁচু আবার কোথাও নিচু রাস্তা। বসন্তের নানান ফুল ফলের ঘ্রাণ ভেসে আসছে বাতাসের সাথে৷ কুকিলের ডাক আর নাম না জানা অনেক পাখির কুহুতান চারদিকে। গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের ছেলদিয়া গ্রামে এই গাছের অবস্থান।


    পাকা কাঁচা সড়ক পেরিয়ে মাটির মেঠো পথ পেরিয়ে যেতেই দেখা মিলবে ধানের সবুজ জমি৷ এরিমধ্যে সবুজের বুকে যেনো একখণ্ড লাল চিহ্ন। এটি পলাশ গাছে ফুটা ফুল। সবুজের ভিতর লাল ওপর থেকে দেখলে মনে হয় এটি যেনো আমাদের স্বাধীনতার প্রতিক লাল সবুজের জাতীয় পতাকা। এমনি সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে যুগ যুগ ধরে বেঁচে আছে গাছটি।

    বসন্তের ভরদুপুরে এই গাছের নিচে একবার সময় কাটালে প্রেম মোহে পড়তে বাধ্য হতে হবে। বসন্তের শীতল হাওয়া আর মিষ্টি রোদ এনে দেয় তৃপ্তির ঢেঁকুর। ফসলের মাঠের পানিতে শীতল হওয়া মাটিতে খালি পায়ে হাটলে মনের মধ্যে উচ্ছাস ছড়াবে। মনকে মুহূর্তে শীতল করে দিবে প্রকৃতি। ইট-পাথরের শহরে যাদের মন বিষাক্ত হয়ে ওঠেছে তাদের মনের শান্তি ও তৃপ্তির খোরাক হতে পারে এমন দৃশ্য।

    এই পলাশ গাছটির বয়স কতো হয়েছে তার সঠিক ধারণা স্থানীয় কারো নিকট পাওয়া যায়নি। তবে এটির বয়স শতবর্ষ ছাড়িয়ে গেছে আরো আগেই এ বিষয়ে সবাই একমত। প্রকৃতিতে আপনা-আপনি বেড়ে ওঠা এই গাছটি কৃষকদের পরম বন্ধু হয়ে আছে। কৃষকের ক্লান্ত শরিল মুহূর্তে সজীবতা ফিরিয়ে আনে। ভরদুপুরে একটি ছায়াতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আসেন মাঠের কৃষকরা। কিছুক্ষণের মধ্যে নিজের অজান্তেই ঘুম চলে আসে চোখে।

    স্থানীয় কৃষক আফাজ উদ্দিন বলেন, আমার নিজের বয়স ৬০ বছর ছুঁই ছুঁই। আমার পিতার কাছে শুনছি গাছটি তিনি এমনি দেখেছেন শুরু থেকেই আমরা মাঠে কাজ করে বিশ্রাম নেই। এই ছায়ার নিচে বসে খাবার খাই। আমাদের পরম উপকারী বন্ধু হয়ে আছে পলাশ গাছটি।

    নরসিংদী থেকে ঘুরতে আসা আবদুল্লাহ বলেন, কয়েকজন বন্ধু মিলে ঘুরতে আসছি, সত্যি অসাধারণ লাগলো আমাদের কাছে। এই সৌন্দর্য টিকিয়ে রাখতে হবে। বিশেষ করে এই গাছের সৌন্দর্য হচ্ছে ফুল। ঘুরতে আসা কেউ যেনো ফুল না ছিঁড়ে এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে৷ গাছ বেঁচে থাকলে সৌন্দর্য বেঁচে থাকবে।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…