কোম্পানির গোপন তথ্য বাইরে ফাঁস করায় সম্প্রতি প্রায় ২০ জন কর্মীকে বরখাস্ত করেছে ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেটার একজন মুখপাত্র ডেভ আর্নল্ড।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জকে আর্নল্ড বলেন, ‘কোম্পানিতে যোগদানের সময় এবং পরবর্তী সময়ে কর্মীদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, গোপন তথ্য ফাঁস করা মেটার নীতিমালার পরিপন্থী।’
আর্নল্ড আরও বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা একটি তদন্ত চালিয়েছি। যার ফলে প্রায় ২০ জন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এসব কর্মী কোম্পানির গোপন তথ্য বাইরে ফাঁস করেছে এবং আমরা আশা করছি, আরও কর্মী বরখাস্ত করা হবে। বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি এবং যখন ফাঁসকারী চিহ্নিত করব, তখনই পদক্ষেপ নেব।’
মেটা এখন কোম্পানির গোপনীয়তা রক্ষার ওপর বেশি জোর দিচ্ছে। কারণ, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গোপন তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ছিল ঘোষণা না করা পণ্যের পরিকল্পনা এবং অভ্যন্তরীণ সভার তথ্য। এ ছাড়া মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গের কর্মী সভার তথ্যও সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়।
গত সপ্তাহে মেটার কর্মীদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল যে গোপন তথ্য ফাঁস করলে তাঁদের কোম্পানির পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে।
পরে কোম্পানির সিটিও অ্যান্ড্রু বোসওয়ার্থ বলেন, ‘আমরা তথ্য ফাঁসকারীদের ধরার ক্ষেত্রে ভালো অগ্রগতি অর্জন করেছি।’
এ ছাড়া মেটার অভ্যন্তরীণ এক সভায় বোসওয়ার্থ মন্তব্য করেন, ‘তথ্য ফাঁস নিয়ে একটা মজার ব্যাপার ঘটছে। যখন কিছু ফাঁস হয়, তখন অনেক সময় লোকজন মনে করে, আহ, এটা ফাঁস হলো। এর ফলে আমাদের কিছু পরিবর্তন করতে হবে। তবে এর উল্টোটা বেশি ঘটে।’
এ ঘোষণার মাধ্যমে মেটা কোন ধরনের তথ্য ফাঁস হয়েছে, কোন কর্মী বরখাস্ত হয়েছেন বা তাঁরা কাকে তথ্য সরবরাহ করেছেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি।
মেটার নীতি অনুযায়ী, যেকোনো ধরনের গোপন তথ্য ফাঁস করলে কর্মীরা গুরুতর শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন।
মেটার অভ্যন্তরীণ মনোবল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে সিইও মার্ক জাকারবার্গের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর। জাকারবার্গ ঘোষণা করেছেন, মেটার কর্মীদের মনোবল ভেঙে পড়েছে। কারণ, সম্প্রতি জাকারবার্গ জানান, কোম্পানির কনটেন্ট মডারেশন নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হবে এবং সংস্থার ডিইআই প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করা হবে। এসব প্রোগ্রামে মেটা অনেক কর্মী নিয়োগ দিয়েছিল।
এ ছাড়া চলতি মাসের শুরুতে ছাঁটাই হওয়া প্রায় ৪ হাজার কর্মীকে ‘লো পারফর্মার’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন জাকারবার্গ। ছাঁটাই হওয়াদের সংখ্যা কোম্পানির মোট কর্মীর প্রায় ৫ শতাংশ।
এবি