আসন্ন ঈদুল ফিতর বিশ্বের প্রায় সকল মুসলিম দেশে একই দিনে তথা আগামী সোমবার (৩১ মার্চ) অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি অবিশ্বাস্যভাবে সৌদি আরব ও বাংলাদেশেও একই দিনে ঈদ হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
পাকিস্তান স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন (সুপারকো) বুধবার জানিয়েছে, আগামী ২৯ মার্চ পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ৩০ মার্চ চাঁদ দেখা যাওয়ার এবং পরদিন ৩১ মার্চ (সোমবার) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চাঁদের অবস্থান, সূর্যের সঙ্গে এর কোণিক বিভাজন, সূর্যাস্তের সময় উচ্চতা এবং বায়ুমণ্ডলীয় পরিস্থিতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে দেখা গেছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ৩০ মার্চ চাঁদ দেখা যাবে। ফলে এসব দেশে ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, সৌদি আরবে আগামী ২৯ মার্চ চাঁদ দেখা প্রায় অসম্ভব। কারণ, মক্কায় চাঁদের বয়স সেদিন সূর্যাস্তের সময় প্রায় ৫ ঘণ্টা হবে। এর ফলে, সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যে ৩০ মার্চ চাঁদ দেখা যাবে। সেই হিসেবে সেসব দেশের মুসলমানরা ৩১ মার্চ ঈদ উদযাপন করবেন। বাংলাদেশেও ওইদিন তথা ৩১ মার্চ ঈদ হতে পারে।
কারণ, বাংলাদেশের আকাশে ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় নবচন্দ্রের বয়স হবে ২৫ ঘন্টা ১৬ মিনিট। যা কিছুটা ছোট হলেও খালি চোখেও দেখা যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান এহসানুল হক জুবায়ের গণমাধ্যমকে বলেন, ২৯ মার্চ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় নবচন্দ্রের বয়স হবে মাত্র ১ ঘণ্টা ১৬ মিনিট। এ চাঁদ খালি চোখে তো নয়ই, টেলিস্কোপ দিয়েও দেখা যাবে না। পরদিন অর্থাৎ ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় ঢাকার আকাশে যখন চাঁদ উঠবে তখন সেটির বয়স ২৫ ঘণ্টা ১৬ মিনিট। আকারে কিছুটা ছোট হবে, তবে খালি চোখে দেখা যাবে। তাই বাংলাদেশে ২৯ রোজা এবং ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে একই দিনে ঈদ উদযাপনের প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
তবে, সৌদি আরব যেহেতু চাঁদ দেখতে টেলিস্কোপ ব্যবহার করে, তাই দেশটির চাঁদ দেখা কমিটির পক্ষ থেকে ৩০ মার্চ ঈদের ঘোষণা আসাটাও অস্বাভাবিক নয়। এরকম হলে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের ঈদুল ফিতর উদযাপনে একদিনের ব্যবধান থেকে যাবে। অর্থাৎ সৌদি আরব তখন ৩০ মার্চ ঈদ উদযাপন করবে আর অন্যান্য দেশগুলোতে ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর হতে পারে।