এইমাত্র
  • রোহিঙ্গাদের সহায়তা কমে যাওয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ
  • চলতি বছরেই বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসবে ভারত
  • ক্ষোভে ফুঁসছে মাগুরাবাসী, ধর্ষকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো জনতা
  • উখিয়ার ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিব, কথা শুনলেন রোহিঙ্গাদের
  • রূপগঞ্জে চকলেট কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ
  • গ্রিনল্যান্ডের দখল আমাদের লাগবেই: ট্রাম্প
  • প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে : রিজভী
  • সুন্দরবনে ২৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, আটক ৫
  • মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৫
  • গাজায় ফের ইসরায়েলের হামলা, ২ শিশুসহ নিহত ৪
  • আজ শনিবার, ৩০ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ১৫ মার্চ, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    নিষেধাজ্ঞার ১২ দিনেও মেলেনি জেলেদের খাদ্য সহায়তার চাল

    মো. সবুজ, ভোলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম
    মো. সবুজ, ভোলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম

    নিষেধাজ্ঞার ১২ দিনেও মেলেনি জেলেদের খাদ্য সহায়তার চাল

    মো. সবুজ, ভোলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম

    ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে চলছে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরার দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞার ১২ দিন পার হলেও এখনো মেলেনি জেলেদের খাদ্য সহায়তার চাল। ফলে চরম হতাশায় দিন পার করছেন কর্মহীন হয়ে পড়া ভোলার প্রায় ২ লক্ষাধিক জেলে।

    মৎস্য বিভাগ বলছে, নিষেধাজ্ঞার সময়ের জেলেদের খাদ্য সহায়তার চাল প্রথম সপ্তাহে বিতরন করার কথা থাকলেও কিছু ত্রুটির জন্য একটু সময় লাগছে। তবে জেলেদের খাদ্য সহায়তার চাল চলতি মাসের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন হবে।

    মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে জেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ২৮৩ জন। তাদের অনুকূলে ৪০ কেজি করে ৮৯ হাজার ৬০০ শত জেলে পরিবারের জন্য ৭ হাজার ১৬৮ টন চাল বরাদ্দ হয়েছে।

    এদিকে জেলেরা বলছেন, নদীতে অভিযানের নামে সাধারণ জেলেদের উপর জুলুম করা হচ্ছে। পাইজাল, খুটা জাল নদীতে দিব্যি মাছ শিকার করে বেড়াচ্ছে। সাধারণ জেলেরা সরকারের দেওয়া অভিযান মানলেও পাইজাল, খুটা জাল এগুলো প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নদীতে ঠিকই মাছ ধরছে বলে অভিযোগ করেন জেলেরা।

    মৎস্য বিভাগ বলছে, খুটা জাল, পাইজালের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান চলমান রয়েছে। নামাজ ও ইফতারের সময় কিছু অসাধু জেলেরা ফাঁকি দিয়ে নদীতে নামছেন। তবে প্রতিদিনই এসকল জাল জব্দ করা হচ্ছে।

    ভোলার উপকূলীয় কয়েকটি মৎস্য ঘাট ঘুরে জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে দিন গুনছেন তারা। তবে পেটের দায়ের কিছু জেলে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নদীতে মাছ শিকার করতে যান। এসকল জেলেরা বলছেন পেট তো আর নিষেধাজ্ঞা মানছে না। এনজিওর কিস্তির, পরিবারের খাদ্য জোগান দিতেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নদীতে নামছেন তারা। তাদের দাবী নিষেধাজ্ঞার ১২ দিন পার হলেও এখনো মেলেনি তাদের বরাদ্দকৃত সরকারি সহায়তার চাল।

    ভোলার খাল এলাকার আব্দুল্লাহ মাঝি, মোসলেউদ্দিন মাঝি, আলামিন মাঝি সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, রমজান মাসে পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে তাদের। একদিকে নদীতে অভিযান অন্য দিকে সমিতির লোকজন বাড়িতে এসে বসে থাকে কিস্তির জন্য। আবার নিষেধাজ্ঞার ১২ দিন পার হলেও এখনো পাননি সরকারি চাল। চাল পেলে কিছুটা দুর্ভোগ কম হতো বলেও জানান তারা।

    মাঝির খাল এলাকার রহিম মাঝি জানান, এনজিও থেকে টাকা নিয়ে জাল ট্রলার করেছি। কিস্তির জন্য সমিতির লোকজন এসে বসে থাকে। নিষেধাজ্ঞার সময়ে না খেয়ে বাড়িতে থাকা গেলেও সমিতির টাকা না দিয়ে বাড়িতে থাকা যাচ্ছে না। এই সময়ে এনজিওর কিস্তি বন্ধ থাকলে কিছুটা স্বস্তি পেতাম।

    জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের টহল কার্যক্রম জোরদার রয়েছে। খুটা জাল, পাইজালের বিরুদ্ধে আমরা তৎপর রয়েছি। নদীতে নামলেই জেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জেলেদের খাদ্য সহায়তার চাল বিতরনের সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দুই এক দিনের মধ্যেই চাল বিতরন করা হবে।

    তিনি আরো জানান, জেলায় ১২ দিনে ৬ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও ৫ লক্ষ ১০ হাজার মিটার জাল জব্দ ও জাল নৌকাসহ ৩৮ হাজার টাকার নিলাম করা হয়েছে।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…