মেঘনা নদীতে অজ্ঞাত লাইটার জাহাজের ধাক্কায় নিখোঁজ হয়েছেন এক নৌ শ্রমিক। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার হোসেন্দী অর্থনৈতিক অঞ্চল সংলগ্ন নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ ব্যক্তির নাম মো. ওমর আলী (৫৫) দিনব্যাপী খোজাখুজি শেষে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান মেলেনি। বিষয়টি গজারিয়া নৌ পুলিশের ইনচার্জ মাহবুব আলম নিশ্চিত করে বলেন, সারাদিনের তল্লাশি অভিযান শেষে ডুবুরি দল সন্ধান কার্যক্রম স্থগিত করেছে। তবে শুক্রবার সকালে পুনরায় উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ ) ভোর আনুমানিক পাঁচটার দিকে ভোলা থেকে কিশোরগঞ্জগামী "নাফিজ তাসিম" নামের একটি বাল্কহেড মেঘনা নদীর গজারিয়া ভবানীপুর এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় সিটি গ্রুপ অব কোম্পানির ইন্ডাস্ট্রির কাছে নদীতে ঘন অন্ধকার থাকায় অসাবধানতাবশত একটি অজ্ঞাত লাইটার জাহাজ বাল্কহেডটিকে ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডের সুকানি (চালক) ওমর আলী নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। নিখোঁজ ওমর আলী কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের মধ্যমপাটুলি গ্রামের মো.জোবেদ আলী এবং মা মৃত আলতাভানুর ছেলে।
এ ঘটনায় বাল্কহেডের আরেক শ্রমিক মিস্ত্রি জাহিদুল (২৩) গুরুতর আহত হন। তার বাবার নাম আনোয়ার হোসেন। তিনি মাথায় আঘাত পান এবং প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে গজারিয়া নৌ পুলিশ, গজারিয়া থানা পুলিশ ও গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা যৌথভাবে কাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এছাড়া দুর্ঘটনার পরও অজ্ঞাত লাইটার জাহাজটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে নৌপুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
নিখোঁজ ওমর আলীর পরিবার দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। স্বজনরা আহাজারি করে তার দ্রুত সন্ধান চেয়ে আকুতি জানাচ্ছেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ও নৌ শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা নদীতে অবৈধ ও বেপরোয়া নৌযান চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়ে দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানান।
এনআই