পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে তরমুজভর্তি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় বাউফল থানায় মামলা হয়েছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের কপালবেরা গ্রামের তরমুজচাষি ভুক্তভোগি মো. শহিদুল ইসলাম (৫৮) বাদী হয়ে সাত-আটজন অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করেছেন। এ দিকে ডাকাতির সময় স্থানীয় লোকজনের পিটুনিতে মো. কবীর (৩৫) নামে এক ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। কবীরের বাবার নাম মফিজল ব্যাপারী, মায়ের নাম জাহানারা বেগম। ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ বালিয়া গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডে তার বাড়ি।

বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে নিহত ডাকাতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার লাশের ময়না তদন্ত শেষে বিকেলের দিকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে গলাচিপার চরকাজল থেকে শহিদুল ইসলাম ১০ হাজার তরমুজ নিয়ে চাঁদপুরে যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে তেঁতুলিয়া নদীর বাউফলের তালতলী মোহনা এলাকায় পৌঁছালে সাত-আটজনের সশস্ত্র একটি ডাকাত দল একটি ট্রলার নিয়ে তরমুজভর্তি ট্রলারটিকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে তারা তরমুজের ট্রলারের নিয়ন্ত্রণ নেন। এ সময় ডাকাতেরা ট্রলারের চালকসহ ট্রলারে থাকা তিনজনকে কুপিয়ে আহত করেন। তারা এক ডাকাতকে জাপটে ধরে চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন। অন্য ডাকাতেরা পালিয়ে গেলেও একজনকে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দেন। খবর পেয়ে ভোর পাঁচটার দিকে গুরুতর আহত ডাকাতসহ ট্রলারের লোকজনকে উদ্ধার করে পুলিশ।

গুরুতর আহত ডাকাতকে প্রথমে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার বেলা দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আর নিহত ডাকাতের পরিচয় পাওয়ায় মামলা তদন্তে ও অন্য ডাকাতদের শনাক্ত করতে সুবিধা হবে। আশা করছি খুব কম সময়ের মধ্যে ডাকাতদের গ্রেপ্তার করতে পারবো।

এসআর