এইমাত্র
  • 'বেটিং অ্যাপ' প্রচার: বিজয় দেবরাকোন্ডা-নিধিসহ ২৫ তারকার বিরুদ্ধে মামলা
  • আসল যে লক্ষ্য-পরকাল, সেটা আমরা ভুলে যাই: সিমরিন লুবাবা
  • গল্প এবং চরিত্রের প্রতি বেশি মনোযোগী হয়ে উঠেছি: তানিয়া বৃষ্টি
  • মির্জাপুরে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিলো প্রশাসন, বন্ধের নির্দেশ
  • বগুড়ায় সড়কে ঝরল ২ প্রাণ, আহত ২০
  • নিজেকে 'বাস্তববাদী' বলে সিনেমা ছাড়ার ঘোষণা বর্ষার
  • নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষ, নিহত ২
  • ঈদকে সামনে রেখে পোশাক তৈরির কারিগরদের বেড়েছে কর্মব্যস্ততা
  • বরিশালে নাহিদের সামনেই এনসিপি'র দু'পক্ষের হট্টগোল
  • কালিহাতীতে ঠিকাদারের গাড়িতে হামলা, আহত ৩
  • আজ শুক্রবার, ৭ চৈত্র, ১৪৩১ | ২১ মার্চ, ২০২৫
    ফিচার

    প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ

    ফিচার ডেস্ক প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:১০ পিএম
    ফিচার ডেস্ক প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:১০ পিএম

    প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ

    ফিচার ডেস্ক প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:১০ পিএম

    আজ ঐতিহাসিক ১৯ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজীপুরের (তৎকালীন জয়দেবপুর) বীর বাঙালিরা গর্জে উঠেছিল এবং সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল।

    শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চে দেওয়া ভাষণে ‘তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে,’ এই মন্ত্রবলে বলিয়ান হয়ে ১৯ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই জয়দেবপুরে অকুতোভয় মুক্তিকামী বাঙালিরা সশস্ত্র সেনাবাহিনীর সামনে প্রথমবার রুখে দাঁড়িয়েছিল। হাজার-হাজার জনগণ অবতীর্ণ হয়েছিল সেই সম্মুখযুদ্ধে।

    ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চে ঢাকা ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার থেকে হঠাৎ পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবের নেতৃত্বে পাকিস্তানি রেজিমেন্ট জয়দেবপুরের (গাজীপুর) দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করার জন্য পৌঁছে যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা জয়দেবপুরে এক প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। সশস্ত্র পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করলে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন অনেকে। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ।

    শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ জয়দেবপুরের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে নিজ হাতে লিখে একটি বাণী দিয়েছিলেন। বাণীতে তিনি লিখেছিলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৯ শে মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে আরও একটি স্মরণীয় দিন। ওইদিন পাক মিলিটারি বাহিনী জয়দেবপুরে ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত দ্বিতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টের জওয়ানদের নিরস্ত্র করার প্রয়াস পেলে জয়দেবপুর থানা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের যৌথ নেতৃত্বে কৃষক, ছাত্র, জনতা সবাই বিরাট প্রতিরোধের সৃষ্টি করে। ফলে, মিলিটারির গুলিতে তিনটি অমূল্য প্রাণ নষ্ট হয় এবং বহু লোক আহত হয়। আমি তার কয়েকদিন মাত্র পূর্বে ৭ই মার্চ তারিখে ডাক দিয়েছিলাম, যার কাছে যা আছে, তাই দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোল। জয়দেবপুরবাসীরা তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। আমি তাদের মোবারকবাদ জানাই।’

    তিনি আরও বলেন, ‘কোন মহৎ কাজই ত্যাগ ব্যতীত হয় না। জয়দেবপুরের নিয়ামত, মনু, খলিফা ও চান্দনা চৌরাস্তায় হুরমতের আত্মত্যাগও বৃথা যায় নাই। শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। তাই আজ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের ফলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশকে স্বাধীন করার সংগ্রাম শেষ হয়েছে। আসুন আজ আমরা সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার সংগ্রামে লিপ্ত হই।’ তিনি জয় বাংলা বলে বাণীটি শেষ করেন।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…