বিশ্বজুড়ে ইসরাইলি ও মার্কিন দূতাবাসগুলোর সামনে অবরোধ ও ব্যাপক বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আরব ও মুসলিম বিশ্বসহ গোটাবিশ্বের মুক্ত চেতনাসম্পন্ন মানুষের প্রতি এ আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংহতি প্রকাশে এই বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে সংগঠনটি।
হামাসের অভিযোগ, ‘দখলদার ফ্যাসিবাদী সরকার আবারও গাজায় বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা চালাচ্ছে, যা মানবিক মূল্যবোধ ও ধর্মীয় আইন লঙ্ঘন করছে’।
এরই প্রেক্ষিতে সংগঠনটি বিশ্বের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ এবং ইসরাইল ও মার্কিন দূতাবাসগুলোর সামনে অবরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই অবরোধের লক্ষ্য হবে তেলআবিব ও ওয়াশিংটনের ওপর সব ধরনের চাপ সৃষ্টি করা। যাতে গাজার জনগণের বিরুদ্ধে চলমান আগ্রাসন বন্ধ হয়’।
গাজার পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
হামাসের এই ঘোষণা এমন সময়ে এলো যখন ইসরাইলি বাহিনী গাজায় তীব্র বিমান হামলা চালিয়ে শতশত নিরীহ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে হত্যা করছে। যেখানে শুধু মঙ্গলবারের হামলায় ৪২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ১৭৪ জন শিশু ও ৮৯ জন নারী।
এছাড়া ইসরাইলি হামলায় ৬০০-র বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তাদেরকে বাড়িঘর, মসজিদ ও আশ্রয়স্থল লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে ইসরাইল গত ১৭ দিন ধরে গাজার সীমান্ত ক্রসিংগুলো বন্ধ করে রেখেছে। যার ফলে উপত্যকাজুড়ে চরম মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে এবং খাদ্য ও ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
এমআর-২