যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নে ভিজিএফ'র ভুয়া কার্ডে চাল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সদস্য আহনাফ তাহমিদ বাঁধনের নাম সম্বলিত সীলে ভুয়া কার্ডগুলো করা হয়। রোববার (২৩ মার্চ) চাল বিতরণের সময় এমন অসংখ্য ভুয়া কার্ড ধরা পড়ার পর ছাত্র নেতার জালিয়াতি ফাঁস হয়ে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকার অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদে ২৩শ' ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ আসে। চাল বিতরণের আগেই কার্ডগুলো ভাগাভাগি হয়ে যায়। বিএনপি নেতারা ৮শ' জামায়াতের নেতারা সাড়ে ৪শ' ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতারা ৩৮০ টি নিয়ে যান। বাকি কার্ডগুলো চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের ভাগে ছিল। নেতারা নিজ অনুসারীদের দেয়া প্রতিটি কার্ডের পিছনে নামের সীল মেরে দেয়। রোববার সকাল থেকে ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণ করা হচ্ছিলো। এই কার্ডের মাধ্যমে প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। চাল বিতরণের সময় ভুয়া কার্ডগুলো ধরা পড়ে।
চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ফরিদ হোসেন জানান, চাল বিতরণের সময় কিছু কার্ড দেখে দায়িত্বরতদের সন্দেহ হয়। এসময় তারা অসংখ্য কার্ড ভুয়া সন্দেহে উদ্ধার করে। প্রতিটি কার্ডের পিছনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সদস্য আহনাফ তাহমিদ বাঁধনের নাম সম্বলিত সীল রয়েছে। আসল কার্ডের সাথে উদ্ধার হওয়া কার্ডের সামান্য ব্যবধান লক্ষ্য করা গেছে। পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতারা আসলে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়। কতগুলো ভুয়া কার্ড উদ্ধার হয়েছে জানতে চাইলে বলেন গগনা করা হয়নি। সেগুলো প্যাকেট ভর্তি করে রাখা হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সদস্য আহনাফ তাহমিদ বাঁধন জানান, তারা কাউকে ভুয়া ভিজিএফ'র কার্ড দেননি। কার্ডগুলোর বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন জানান, ভিজিএফ'র চাল বিতরণের সময় দায়িত্বরতদের হাতে অসংখ্য ভুয়া কার্ড ধরা পড়েছে। ভুয়া কার্ডে কত জন চাল উত্তোলন করেছেন তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি। আসল কার্ড স্ক্যান করে ভুয়া কার্ডগুলো তৈরি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।