এইমাত্র
  • ‘কাশ্মীরে হামলা সাজানো’ বিস্ফোরক মন্তব্য ভারতীয় সেনার
  • ১০২৪ বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারত
  • সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় স্বামী-স্ত্রী নিহত
  • দক্ষিণের ২১ জেলায় দুই ঘণ্টা ‘ব্ল্যাক আউট’
  • বন্ধ থাকার পর ফের চালু মেট্রোরেল
  • দেশে মৃত ভোটার ছাড়ালো ২৩ লাখ, নতুন যুক্ত হয়েছে ৬৩ লাখ
  • ডেটিং অ্যাপে পলাশের একাউন্ট, তরুণীর সতর্কবার্তা
  • বিয়ের পরের জীবন 'খুবই মজার', বললেন শিরিন শিলা
  • মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
  • ছাত্রদের কাজ ক্যাম্পাসে, মন্ত্রণালয়ে নয়: রিজভী
  • আজ শনিবার, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    চট্টগ্রামে ইফতার বিতরণ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৬

    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১২:০৭ এএম
    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১২:০৭ এএম

    চট্টগ্রামে ইফতার বিতরণ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৬

    গাজী গোফরান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (চট্টগ্রাম) প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১২:০৭ এএম

    চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানার মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় ইফতার সামগ্রী বিতরণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ছয়জন ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে সীমা গার্মেন্টস সংলগ্ন মুন্সি মিয়ার পুরান বাড়ি মাঠে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন—খুরশিদ আলম, রাকিব, মুরাদ, সোহেল, হাসান মুরাদ এবং জালাল।

    জানা গেছে, আহতদের মধ্যে খুরশিদ ও রাকিব বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর অনুসারী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম চৌধুরী সাজ্জাদ গ্রুপের সদস্য। অন্যদিকে, আহত বাকিরা চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের অনুসারী।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, জিয়া মঞ্চ ডবলমুরিং থানা কমিটির উদ্যোগে মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় ৩০০ মানুষের জন্য ইফতার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে বিএনপির অপর পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে, যা শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষে রূপ নেয়।

    ২৪ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি মো. ইউনূস সময়ের কণ্ঠস্বর-কে বলেন, ‘জিয়া মঞ্চের উদ্যোগে আমরা ইফতার বিতরণ করছিলাম। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক দেলোয়ার আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে ইফতার বিতরণ করছিলেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি বিএনপি করে কেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সখ্যতা গড়ছো? এই প্রশ্নের পরপরই দেলোয়ার লোকজন নিয়ে আমাদের খুরশিদ ভাইকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর আমাদের রাকিবকেও আঘাত করা হয়।’

    তিনি আরও বলেন, ‘ইফতারের বিরিয়ানি রান্না করা হয়েছিল সবুরের বাড়িতে, যিনি পরিচিত আওয়ামী লীগ সমর্থক ও ডলার নাছিরের অনুসারী। এটি নিয়ে ক্ষোভ থেকে সংঘর্ষ বাঁধে।’

    অপরদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় জিয়া মঞ্চ ডবলমুরিং থানা কমিটির আহ্বায়ক মো. দেলোয়ার ভিন্ন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০০ মানুষের জন্য ইফতার বিতরণ করছিলাম। তখন খুরশিদ, রাকিব, ইউনূস এবং সেলিমরা এসে আমাদের নেত্রীর ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এরপর আমাদের ছেলেদের ওপর হামলা চালায় এবং ইফতারের ৩০০ প্যাকেট রাস্তায় ফেলে দেয়।’

    তিনি আরও দাবি করেন, ‘আমাদের ওপর তারা হকিস্টিক, লাঠিসোঁটা ও ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। রাকিব আমাকে ছুরিকাঘাত করতে গেলে আমি সরতে গেলে সেই আঘাত খুরশিদের গায়ে লাগে। সংঘর্ষের পর যারা চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে গিয়েছিল, সেখানেও তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।’

    সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিকুল ইসলাম সময়ের কণ্ঠস্বর-কে বলেন, ‘ইফতার বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এতে দুজন ছুরিকাহত হয়েছেন। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…