'তারা আমাকে যেভাবে টর্চারটা করল, যেভাবে ফলাও করে ওই নিউজটা করা হলো, যেভাবে তার ইন্টারভিউ করা হলো; তার মানে কি আমরা মিডিয়াকর্মী হয়ে তাকে বেশি সুবিধা দিচ্ছি না?' গৃহকর্মীকে মারধরের বর্ণনায় হুট করে মধ্যরাতে পরীমণি এমন মন্তব্য করেন।
এরআগে পিংকি আক্তার নামে এক নারী রাজধানীর ভাটারা থানায় গিয়ে নিজেকে পরীমণির গৃহকর্মী দাবি করে নায়িকার নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন বলে সাধারণ ডায়েরি করেন। পরীমণি তার এক বছরের মেয়ে সন্তানকে খাবার খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে গৃহকর্মীকে মারধর ও নির্যাতন করেন বলে জানা যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে থানায় পরীর বিরুদ্ধে জিডি করেন ওই গৃহকর্মী।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে বেশ কয়েকদফা চেষ্টা করেও পরীমণির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে হুট করেই গতকাল দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন পরীমণি। ২১ মিনিট ৬ সেকেন্ডের দীর্ঘ এই ফেসবুক লাইভে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আইনিভাবে মোকাবিলার কথাও জানান ঢাকাই ছবির এই নায়িকা। তিনি বলেন, 'আপনারা আমার বিগত জীবনযাপন দেখলেই বুঝবেন, কোনো আত্মীয়স্বজন নিয়ে আমার জীবনযাপন না, আমার পুরো পরিবারটাই হলো আমার স্টাফদের নিয়ে। বিভিন্ন বিশেষ দিবসে তাদের নিয়ে লেখালেখি করতাম। মাদার্স ডে, ফাদার্স ডে যা-ই বলেন না কেন, কারণ আমি তাদের নিয়েই থাকি। সেখানে একজন আমার গৃহকর্মী, যে এক মাসও হয়নি না আসলে...সে দাবি করতেই পারে (গৃহকর্মী হিসেবে), তবে আমি বলব সে আমার গৃহকর্মী না।'
তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, স্বপক্ষে তার কাছে প্রমাণ আছে উল্লেখ করে এই নায়িকা আরও বলেন, 'আমরা কি একটু ওয়েট করতে পারতাম না যারা মিডিয়াকর্মী ছিলাম। তারা আমাকে যেভাবে টর্চারটা করল, যেভাবে ফলাও করে ওই নিউজটা করা হলো, যেভাবে তার ইন্টারভিউ করা হলো; তার মানে কি আমরা মিডিয়াকর্মী হয়ে তাকে প্রিভিলেজ (বেশি সুবিধা) দিচ্ছি না? যে কেউ যে কারও বিরুদ্ধে জিডি করলেই সাথে সাথে এটা জাস্টিফাই হয়ে যাবে? এতে আমি ছোট হয়েছি বা বড় হয়েছি তা না, আমি যদি অন্যায় করি ডেফিনেটলি আমার শাস্তি পাওয়া উচিত। যে কেউ অভিযোগ করতেই পারে, কিন্তু সেটা প্রমাণিত হওয়ার আগেই আপনি তাকে দোষী সাব্যস্ত করে দেবেন?'
সেই লাইভে পরীমণি আরও জানান, গতকাল রাত নয়টা থেকে সাড়ে নয়টার দিকে তাঁর বাসায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ সদস্যরা বাসার সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। দীর্ঘ লাইভে বেশ কয়েকবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন পরী। ফেসবুক লাইভের শেষ তিনি বলেন, 'এত মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ করে দেন, জনগণ কিন্তু আস্ত একটা মিডিয়া।'