৫টি মৃত মুরগী নিয়ে থানায় হাজির হয়ে বিচার চেয়েছেন অবস্থান নেন রাশিদা বেগম (৫৫) নামে এক বৃদ্ধ নারী।
শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে সদর থানায় এসে মুরগি হত্যার বিচার চান। অবশেষে ওইদিন রাতে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ নেন ওসি। ওই বৃদ্ধের বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের বেড়পাঙা গ্রামে।
বৃদ্ধ রাশিদা বেগম জানান, তিনি অনেক যত্নে মুরগিগুলো লালন-পালন করে আসছেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালে তিনি মুরগিগুলোকে খাবার দিয়ে বাড়ির উঠানে ছেড়ে দিয়ে বাড়ির পাশের একজনকে দেখতে বলে বিয়ের দাওয়াতে যান। বাড়ি ফিরে দেখেন, তার ১০টি মুরগিই মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। কেউ শত্রুতা করে বা বিষ প্রয়োগ করে মুরগিগুলো মেরেছে বলে দাবী করেছেন ওই বৃদ্ধ নারীর।
তিনি বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি করে এই মুরগিগুলো কিনেছি, কিন্তু কে এই মুরগিগুলো মেরে ফেলেছে বুঝতে পারছি না। আমার এই মুরগি কয়টাই ছিল সম্বল। ডিম বিক্রি করতাম, বাচ্চা ফুটিয়ে বড় করার আশা ছিল। আমি গরিব মানুষ। আমি এর সঠিক বিচার চাই। তাই মৃত ১০টি মুরগির ৫টি থানায় নিয়ে এসেছি প্রমাণ দেখাতে।
এদিকে ওইদিন বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে রাত পর্যন্ত সদর থানা গেটে মৃত মুরগী নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন ওই নারী। পরে রাত ১০টার দিকে ওসি নূরনবী থানায় এসে লিখিত অভিযোগ নিয়ে বিচারের আশ্বাস দিলে ওই বৃদ্ধ নারী থানা ত্যাগ করেন।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি নুরনবী জানান, একটি মামলার তদন্তে সারাদিন বাইরে ছিলাম। রাতে এসে দেখলাম একজন অতি দরিদ্র নারী ৫টি মৃত মুরগি নিয়ে থানায় এসেছেন। আমরা তার লিখিত অভিযোগ গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে মুরগিগুলোর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান চলছে। অভিযোগকারী নারীর সন্দেহসহ সবদিক বিবেচনা করে তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃত মুরগিগুলোর ময়নাতদন্তের জন্য পশুসম্পদ বিভাগে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসআর