এইমাত্র
  • বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ভ্যাটিকান সিটিতে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময়
  • চীনের সঙ্গে বিএনপির সর্ম্পক গভীর হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
  • পাঁচ থেকে সাত বছরের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি, তবে অস্ত্র ছাড়তে রাজি নয় হামাস
  • ‘কাশ্মীরে হামলা সাজানো’ বিস্ফোরক মন্তব্য ভারতীয় সেনার
  • ১০২৪ বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারত
  • সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় স্বামী-স্ত্রী নিহত
  • দক্ষিণের ২১ জেলায় দুই ঘণ্টা ‘ব্ল্যাক আউট’
  • বন্ধ থাকার পর ফের চালু মেট্রোরেল
  • দেশে মৃত ভোটার ছাড়ালো ২৩ লাখ, নতুন যুক্ত হয়েছে ৬৩ লাখ
  • ডেটিং অ্যাপে পলাশের একাউন্ট, তরুণীর সতর্কবার্তা
  • আজ রবিবার, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    বৈশাখকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে হবিগঞ্জের মৃৎ শিল্পীদের

    মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম
    মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম

    বৈশাখকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে হবিগঞ্জের মৃৎ শিল্পীদের

    মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম

    বাংলা নববর্ষ পয়লা বৈশাখকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে হবিগঞ্জের মৃৎশিল্পীদের। দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে তৈরি করা মাটির খেলনা, পুতুল ও ব্যাংকসহ নানান জিনিসপত্র আগুনে পুড়িয়ে ও রংতুলির আঁচড় শেষে বৈশাখী মেলায় তোলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিল্পীরা।

    জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুরাবই গ্রামে পালপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়- বাড়ির সামনে সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে মাটি দিয়ে তৈরি হাঁড়ি- পাতিল, ব্যাংক, কলস, দইয়ের কাপ ও সরাসহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী। এসব জিনিসপত্র তৈরি করার পর তা রোদে শুকানো হচ্ছে। আবার কেউ কেউ রংতুলির আঁচড় দিচ্ছেন।

    পালপাড়ার ছোট-বড় ছেলেমেয়ে সবাই উৎসবের মতো করে এ কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন। ছোট ছোট শিশুরাও তাদের বাবা-মায়েদের এই কাজে সহযোগীতা করছে।

    শিল্পীরা বলছেন, পয়লা বৈশাখকে সামনে রেখে তারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। বছরের এই সময়টাতেই তাদের ভালো আয় রোজগার হয়।

    স্থানীয়রা জানান, বাজারে প্লাস্টিক পণ্যের ছড়াছড়ির কারণে এক সময়ে গ্রামগঞ্জের জনপ্রিয় মাটির তৈরি জিনিসপত্র এখন তাদের ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। এ কারণে মৃৎশিল্পীদের আগের সুদিন নেই। পালপাড়ায় একসময় এই পেশার সঙ্গে ৫০টিরও অধিক পরিবার জড়িত ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন মাত্র ১০ থেকে ১৫টি পরিবার এই পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। উপকরণের দাম বাড়ায় এ কাজে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।

    পালপাড়ার বাসিন্দা শিক্ষার্থী অনন্যা রানী পাল জানান, এটা আমাদের পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি মা-বাবাকে এই কাজে সহযোগিতা করেন। কারণ, এই মাটির জিনিসপত্র বিক্রি করেই তার পড়ালেখাসহ সংসারের খরচ চলে।

    রনজিত পাল নামে এক মৃৎশিল্পী বলেন, “এ পেশায় এখন টিকে থাকা মুশকিল। সরকার সহযোগিতা না করলেই অচিরেই এই পেশা থেকে নতুন প্রজন্ম মুখ ফিরিয়ে নেবে। ইতোমধ্যে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিয়েছে। আমরা যারা এই পেশায় রয়েছি, খুব কষ্টে আছি। আমাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।”

    হবিগঞ্জ বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. বিল্লাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, “মৃৎশিল্প গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের একটি অংশ। মাটির তৈরি এসব জিনিসপত্র আধুনিকায়নে এবং মৃৎশিল্পীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ঋণ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হবে।”

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…