কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ফের মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছেন মো. তৈয়ব (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক। বিস্ফোরণে তার ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির জারুলিয়া ছড়ি বিওপির আওতাধীন ৪৬-৪৭ নম্বর সীমান্ত পিলারের শূন্যরেখায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত তৈয়ব নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়নের কম্বোনিয়া এলাকার বাসিন্দা, ছাবের আহমদের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তৈয়ব সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমারে যান গরু ও অন্যান্য পণ্য আনতে। ফেরার পথে তিনি পা রাখেন একটি স্থলমাইনের উপর, যা সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরিত হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসরুল হক বলেন, “সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।”
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, “ঘটনাটি শুনেছি, বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এর আগেও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে এমন বহু মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে পুঁতে রাখা স্থলমাইনের শিকার হয়ে একাধিক বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন, পঙ্গু হয়েছেন অনেকেই। নিরাপত্তাহীনতা ও ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও সীমান্তবর্তী দরিদ্র জনগণ জীবিকার তাগিদে এসব এলাকায় প্রবেশ করায় প্রায়ই ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এ পরিস্থিতিতে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও জনসচেতনতা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।