ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস উল্টে খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জন। এতে অন্তত আরো ৩০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১১ টার দিকে জেলার সদর উপজেলার বাখুন্ডা শরীফ জুটমিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে ।
নিহতরা হলেন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার শিয়ালকান্দি গ্রামের জোয়াত সরদার (৭০), তার সন্তান ইমন সরদার (২২), তালমা গ্রামের ভারতী সরকার (৪০), দীপা খান (৩৪), লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার আজিবর শেখ (৪৫), চরভদ্রাসন উপজেলার হাজীগঞ্জ এলাকার আলম শেখ (৪৫) ও ফজিরুন নেসা (৬৫)। আহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
এসময় আশংকাজনকভাবে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে প্রায় ৩০ জন যাত্রীকে। তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে হতাহতদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা জানায়, মুকসুদপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি লোকাল বাস ফরিদপুরগামী হাই ডেক্স (নম্বর-ফরিদপুর-জ ১১-০০৬৬) নগরকান্দা হয়ে ফরিদপুরে যাওয়ার সময় জোয়াইড় এলাকায় পৌঁছালে সড়কের পাশে থাকা বিদ্যুতের খুঁটিতে সজোরে আঘাত করে উল্টে যায়। এ সময় বিদ্যুতের একটি পিলার প্রায় সাত থেকে আট ফিট বাসের ভেতরে ঢুকে যায়।তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা এসে হতাহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাসে থাকা অন্তত ৪০ জনের মত যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সাতজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. দিলরুবা জেবা জানান, এ পর্যন্ত মোট ৭জন মারা গেছেন। বাকি সব আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করা হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকা করে দাফন সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে একটি কমিটি করে মূল কারন শনাক্ত করা হবে।
এমআর