মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন ও কলেজ থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি বই লুকিয়ে বিক্রি করছে এমন অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে পিক-আপ ভর্তি বই গুলো নিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিষ্ঠানের পাশের সড়ক থেকে ওই পিকআপসহ বইগুলো আটকে দেয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় সুত্রে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে কলেজে থেকে ত্রিপলে মোড়ানো একটি পিকআপ বের হয়। পড়ে স্থানীয় ও ওই কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী পিক-আপটি আকায়। তাঁরা ত্রিপল খুলতেই পিক-আপ ভর্তি বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি বই দেখতে পান। পরে পিক-আপটি প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনা হয়।

পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেহানা নাসরিন,সহকারি প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান ও সহকারি শিক্ষক মদিন্দ্রনাথ বালা পরস্পর যোগসাজশ করে বই গুলো বিক্রি করে ছিলেন।

অভিযোগের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেহানা নাসরিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, এটি একটি ভুল বুঝাবুঝি। দুদিন পরে এস এসসি পরিক্ষা শুরু হবে।তাই সহকারি প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান ও সহকারি শিক্ষক মদিন্দ্রনাথ বালাকে প্রতিষ্ঠানে পুরনো খাতা পত্র(শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ পরিক্ষার খাতা) রয়েছে সেগুলো স্কুল থেকে সরাতে বলে ছিলাম। তাদেরকে বিক্রি ও করতে বলেনি। তাঁরা কথাটি বুঝতে না পেরে সরকারি বইসহ বিক্রি করে দিয়েছিল।বই বিক্রির পেছনে তার কোনো হাত নেই বলে দাবি করেন এই শিক্ষক।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মদিন্দ্রনাথ বালার মুঠোফোনে ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠান সহকারি প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, অধ্যক্ষ্য আমাকেও দায়িত্ব দিয়ে ছিলেন।তবে এসএসসি পরীক্ষার প্রতিটি কক্ষে ঘড়ি লাগানো সহ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত ছিলাম। বিষয়টি মদিন্দ্রনাথের ভুল হতে পারে।পরবর্তীতে আমি জানতে পেরেছি যে কিছু বই বিক্রি হয়েছে। তবে বই বিক্রির সঙ্গে আমি জড়িত না।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন জানান, সরকারি বই কোনভাবে কোন শিক্ষকের বিক্রি করার এখতিয়ার নেই। এটি আইনগত ভাবে অবৈধ।

শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও প্রতিষ্ঠানটির এডহক কমিটির সভাপতি মো. মহিনউদ্দিন বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক একজন কর্মকর্তাকে সেখানে পাঠাই। এ ব্যাপারে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমআর