পটুয়াখালীর বাউফল রিপোর্টস ইউনিটির সভাপতি ও দৈনিক দেশ রুপান্তর পত্রিকার সাংবাদিক মো. সিদ্দিকুর রহমানকে হুমকি দিয়েছেন জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর সোহাগ। এ সক্রান্ত একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, পৌরসভার পশ্চিম বাউফল নূরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন একটি ভবনের অনিয়মের বিষয়ে সাংবাদিক সিদ্দিক সরেজমিন দেখার জন্য যায়।সেখানে গিয়ে সাংবাদিক সিদ্দিকঠিকাদারকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ না করলে। কিছুক্ষন পড় ওই ফোন নম্বর থেকে ফোন দেয় সাংবাদিক সিদ্দিককে।
ওই ফোনের কল রের্কডে শোনা যায়, আমি জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। ১৭ বছর পর একটি কাজ পেয়েছি। তুই কাজের সাইডে কেন গিয়েছো? কিসের জন্য যাবে? অনিয়ম করলে অফিস দেখবে, আপনি কেন যাবেন? আপনি কি সিভিল ইজ্ঞিনিয়ার? সাংবাদিকদের কাজকি সাইডে? সাইডে খোট খাইতে যাও? আমি আসতেছি, তুই ওখানে থাক। খোট খাওয়াইতে আছি, তুই থাক। তুই অফিসে যোগাযোগ কর। ফাইজলামি? আমি বাউফল আসতেছি, তুই থাক। তোকে দেখে নেব বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পশ্চিম বাউফল নূরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে যান। অনিয়ম চোখে পড়ায় শ্রমিকদের কাছ থেকে নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির মোবাইল ফোন নম্বরে কল করলে তিনি প্রথমে ধরেননি। পরে তিনি ফোন করেন এবং সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর দেখে নেওয়ার হুমকি দেন, অনেক অসৌজন্যম‚লক ও অশালীন আচরণ করেন। তিনি এ বিষয়ে তার ইউনিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনানুক পদক্ষেপ নেবেন।
এ বিষয়ে যুবদল নেতা হুমায়ুন কবির বলেন,‘তার মোবাইল ফোন থেকেই কথা হয়েছে। তবে তিনি হুমকি দেননি। তার ফোন দিয়ে তার-ই বন্ধু সোহেল, যিনি ওই কাজের ঠিকাদার। তিনি (ঠিকাদার) সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত না।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মো. সোহেলের মোবাইল ফোন নম্বরে কল করলে তিনি ধরেননি। ক্ষুদেবার্তা দিলেও সাড়া দেননি।
এনআই