কক্সবাজারের টেকনাফে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পৃথক ভাবে দুটি অভিযান পরিচালনা করে মরণগ্রাসী ইয়াবা ও গুলির চালান উদ্ধার করেছে। এসময় পাচার কাজে জড়িত থাকার অপরাধে এক নারীসহ ৮ জনকে আটক করতে সক্ষম হয় সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যরা।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, কোস্টগার্ড ও র্যাবের যৌথ অভিযানে নাফনদী সংলগ্ন সাগরে একটি ফিশিং ট্রলার থেকে ৪০ হাজার ৭৭০ পিস ইয়াবাসহ ৬ জন পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালের দিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা মাদকের একটি চালান টেকনাফ উপকুলে প্রবেশ করবে।
উক্ত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার বিকালের দিকে টেকনাফ কোস্ট গার্ড ও র্যাব-১৫ এর যৌথ সমন্বয়ে সাগরে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা সন্দেহজনক একটি ইঞ্জিন চালিত ফিশিং ট্রলারে তল্লাশী করে ৪০ হাজার ৭৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করার পাশাপাশি ৬ জন মাদক পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।
ধৃত ৬ পাচারকারী হচ্ছে-আমির সুলতান (৫২),রবি আলম (৪২), দিল মোহাম্মদ (৩৮), নূরুন্নবী (২৮), ঈমান হোসেন (৩২) ও জায়েদ হোসেন (১৮)।
তারা সকলেই মায়ানমারের নাগরিক, তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করার জন্য টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
ওপর দিকে ১২ এপ্রিল (শনিবার) রাতে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রেস বার্তার মাধ্যমে জানান, টেকনাফ থানায় কর্মরত পুলিশের একটি দল শনিবার রাতে টেকনাফ টু কক্সবাজার মহা সড়কে নাইট ডিউটি চলাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে অস্ত্র ব্যবসায় জড়িত দুই জন নারী-পুরুষ সিএনজি (অটোরিকশা) যোগে হোয়াইক্যং মিনা বাজারের দিকে আসছে।
উক্ত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী ডিউটির পুলিশ সদস্যরা হ্নীলা চৌধুরী পাড়া এলাকা বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন সড়কে একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট বসায়। এরপর যাত্রীবাহি একটি সিএনজি যার নং-কক্সবাজার থ ১১-৭৫৭৬ গাড়ী থেকে স্বন্দেহ জনক দুই নারী-পুরুষকে আটক করে। এরপর তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক হেফাজতে থাকা ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
ধৃতরা হচ্ছে, টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালি এলাকার বাসিন্দা মুহাম্মদ সেলিম ও রাজিয়া বেগম। তারা দুজন সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করার পর বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এসআর