র্যাব পরিচয় দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেইসবুক) নারীদের সখ্যতা গড়ে তুলতেন শিহাব হোসেন সাগর।
র্যাবের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন বলে শতাধিক নারীর সঙ্গে মুঠোফোনে অনৈতিক সম্পর্ক। তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত মুহূর্ত শেয়ার করিয়ে ধারণ করত ভিডিও। এরপর সেই ভিডিও দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য ব্ল্যাকমেইল করত সাগর। এমনই অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
গত শনিবার (১২ এপ্রিল) বগুড়ার সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের দারিয়াল হাজরাদিঘী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শিহাব হোসেন সাগর (২১) জেলার সদর উপজেলার দারিয়াল হাজরাদিঘী এলাকার আব্দুল হান্নানের ছেলে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানান র্যাব-১২।
র্যাব সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সাগর মূলত নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন ‘র্যাব পরিচয়’ দিয়ে। তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত মুহূর্ত শেয়ার করিয়ে ধারত করত ভিডিও। এরপর সেই ভিডিও দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের জন্য ব্ল্যাকমেইল করতেন। একজন প্রতারক শুধু নারী নয়, র্যাবের মতো একটি গর্বিত বাহিনীর নাম ব্যবহার করে এ বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা হরণ করছিলো। এমন অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে র্যাবের পোশাক, মোবাইল ফোনসেট, সিমসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
সাগরের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও ডিজিটাল ডিভাইস যার মধ্যে রয়েছে ২টি স্মার্টফোন, ২টি বাটন ফোন, ৩টি সিম, মেমোরি কার্ড, একটি সিপিইউ, হার্ড ডিক্স, এসএসডি কার্ড, রামদা, চাপাতি, ছোড়া এবং বার্মিজ চাকুসহ আরও কিছু অস্ত্রসামগ্রী।
র্যাব-১২ বগুড়া’র কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ বলেন, সাইবার অপরাধ এবং সামাজিক মূল্যবোধ ধ্বংসকারী এইসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে র্যাব কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সাগরের মতো প্রতারকরা আইনের ফাঁক গলে বের হতে পারবে না। গ্রেপ্তারের পর শিহাব হোসেন সাগরকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসআর