এইমাত্র
  • পাকিস্তানের পাল্টা সিদ্ধান্তে বড় ক্ষতির মুখে ভারতীয় এয়ারলাইন্স
  • ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’ নামে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ
  • 'ভারতকে পরিণাম ভোগ করতে হবে’, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি
  • কাশ্মির সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি
  • কাশ্মিরে হামলা ভারতের ‘সাজানো’ ঘটনা
  • ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরতে বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব
  • জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত বাংলাদেশ
  • মারা গেছেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের স্ত্রী জাহানারা আবেদিন
  • যে কোনো সময় পাকিস্তানে হামলা করতে পারে ভারত
  • ভারতে কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের অভিযোগ
  • আজ শুক্রবার, ১২ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    পোল্ট্রি খামার কি ধ্বংসের পথে!

    মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৭ পিএম
    মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৭ পিএম

    পোল্ট্রি খামার কি ধ্বংসের পথে!

    মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৭ পিএম

    পোল্ট্রি খামার খামার কি ধ্বংসের পথে এই প্রশ্ন সব খামারিদের মুখে! বাংলাদেশে প্রত্যেকটি অঞ্চলে পোল্ট্রি খামারিদের দুর্চিন্তার শেষ নাই। খারামিদের লোকসানের কথা কেউ চিন্তা করে না।

    একটা মুরগি বড় করতে কত টাকা খরচ তা কারো অজানা নয়। সরেজমিনে কথা হয় পোল্ট্রি খামারিদের সাথে। তাদের মুখে ফুটে উঠে দুর্চিন্তার কথা হয়। খামারিরা বলে একটি মুরগি ১ কেজি ওজনে বড় করতে অনেক টাকা খরচ হয়।

    তারমধ্যে কথা হয় চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারি ছমি উদ্দিনের সাথে। তিনি বলেন, একটি বয়লার মুরগি ১ কেজি ওজনে বড় করতে হলে খরচ ১৬৫ টাকা থেকে ১৭০ টাকা। সে মুরগি যদি বাজারে পাইকারি ১৪০ টাকা ১৫০ টাকা বিক্রি করতে তাহলে একজন প্রান্তিক খামারি থেকে একটি মুরগির প্রতি ৩০ টাকা থেকে ৩৫ লোকসান দিতে হচ্ছে। ফলে আমার থেকে ১০০০ পিছ মুরগির প্রতি ৩০০০০/৩৫০০০ টাকা লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, আমাকে এক বস্তা মুরগির খাদ্য কিনতে হয় ৩৬০০ টাকা,মুরগির বাচ্চা কিনতে হয় ৫৬/৬০ টাকা ও ওষুধ সামগ্রী কিনতে হয় অনেক উচ্চ দামে। ফলে বয়লার মুরগি গুলো বড় করতে অনেক টাকা খরচ হয়। যা ডিলারকে পাইকারি দামে বিক্রি করার সময় অনেক টাকা লোকসান দিতে হয়। এমতাবস্থায় আমি মনে করি যারা মুরগি নিয়ে সিন্ডিকেট করে দরপতন করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে, না হলে পোল্ট্রি খামার ধ্বংস হয়ে যাবে।

    ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের আরেক মুরগি খামারি মোহাম্মদ রুবেল বলেন, আমি ১৫০০ পিছ বয়লার মুরগি সেড়ে তুলছি। এখন মুরগি গুলো বিক্রির সময় হয়েছে এর মধ্যে হঠাৎ দরপতন হওয়ার কারণে আমাকে অগণিত টাকা লোকসান দিতে হবে। আমি মুরগির ডিলার থেকে বাকী করে বয়লার মুরগি বাচ্চা, খাদ্য ও ওষুধ সামগ্রী এনে থাকি, মুরগি বড় করে সেগুলো বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করে থাকি। এখন মুরগির দাম এত কম যে কিভাবে ডিলারের টাকা পরিশোধ করব বুজতে পারছি না। এভাবে সিন্ডিকেটের কবলে পড়লে প্রান্তিক খামারিদের কপালে হাত দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

    বয়লার মুরগির পাইকারি ব্যবসায়ী আলা উদ্দিন বলেন, হঠাৎ মুরগির দরপতন হওয়ার কারণে প্রান্তিক খামারিদেরকে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এভাবে হলে খামারিরা মুরগি পালন করা থেকে বিরত থাকবে।

    প্রান্তিক খামারিদের একটা আক্ষেপ মুরগির খাদ্যের দাম এত বেশি সরকার কমানোর কোন উদ্যোগ নেই না ও মুরগির বাচ্চার দাম কারণে অকারণে সিন্ডিকেট করে বৃদ্ধি পায় যা প্রান্তিক খামারিদের জন্য খুব কষ্টকর সে ব্যাপারে সরকার কোন পদক্ষেপ নেই না।

    এছাড়া ওষুধ সামগ্রীর দাম এত বেশি সরকার এ ব্যপারে কোন নজর দেই না কিন্তু মুরগির দাম বাড়লে সাথে সাথে মিডিয়ার অপপ্রচার শুরু হয়ে যায়। এগুলোর ব্যাপারে সরকার থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার না হলে অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে প্রান্তিক পোল্ট্রি খামার।


    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…