এইমাত্র
  • পাকিস্তানের পাল্টা সিদ্ধান্তে বড় ক্ষতির মুখে ভারতীয় এয়ারলাইন্স
  • ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’ নামে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ
  • 'ভারতকে পরিণাম ভোগ করতে হবে’, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি
  • কাশ্মির সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি
  • কাশ্মিরে হামলা ভারতের ‘সাজানো’ ঘটনা
  • ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরতে বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব
  • জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত বাংলাদেশ
  • মারা গেছেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের স্ত্রী জাহানারা আবেদিন
  • যে কোনো সময় পাকিস্তানে হামলা করতে পারে ভারত
  • ভারতে কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের অভিযোগ
  • আজ শুক্রবার, ১২ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ফুলের রাজ্যে সুভাষ ছড়াচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ‘নন্দিনী’

    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৯ পিএম
    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৯ পিএম

    ফুলের রাজ্যে সুভাষ ছড়াচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ‘নন্দিনী’

    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৯ পিএম

    দেখতে গোলাপ ফুলের মতো হলেও নাম তার নন্দিনী। দৃষ্টিনন্দন ‘নন্দিনী’ সুভাষ ছড়াচ্ছে যশোরের ফুলের রাজ্য গদখালীতে। ৪৫ রকমের রঙ-বেরঙের অধিকারী নন্দিনী ফুল প্রেমীদের আনন্দ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ঝড় বৃষ্টি ও প্রচন্ড গরম বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগেও এটি অক্ষত থাকে।

    এই ফুলের উৎপত্তি স্থল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এর মান ও বিস্তৃতি বাড়াতে বিস্তর গবেষণা হয়েছে জাপানে। আমদানি নির্ভর নন্দিনী ফুলের রয়েছে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা।

    জানা গেছে, পানিসারা গ্রামে দুই শতক জমিতে ‘নন্দিনী’ ফুলের চাষ করেছেন মিন্টু সরদার। এরই মধ্যে কয়েক রঙের নন্দিনী ফুল ফুটেছে। একটি গাছে একটি করে ডাঁটা (স্টিক), প্রতি ডাঁটায় ৮ থেকে ১০টি করে কুঁড়ি। মিন্টু সরদার জানান, দুই শতক জমিতে সাড়ে তিন হাজার চারা রোপণ করেছিলেন। তার মধ্যে কিছু চারা মারা গেছে। প্রায় তিন হাজার গাছে ফুল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী । প্রতিটি স্টিক ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করা হবে। মিন্টু সরদার আরও জানান, চারাসহ প্রায় ২ লাখ টাকার মতো আবাদী খরচ হয়েছে। প্রথম বছরেই ছয় লাখ টাকার ফুল বিক্রির আশা করছেন তিনি। নন্দিনী ফুল গাছের চারা একবার রোপণ করে দুইবার ফুল সংগ্রহ করা যায়।

    নন্দিনী ফুল নিয়ে গবেষণা করে সফলতা পেয়েছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. এ ফয়েজ এম জামাল। বর্ণবৈচিত্র্যের কারণে ফুলটি অল্প সময়ের মধ্যে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের ফুলের বাজারে জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৮ টি রঙের নন্দিনী ফোটানো সম্ভব হয়েছে।

    ড. জামাল উদ্দিন জানান, জাপান ও বাংলাদেশে ফোটা নন্দিনীর মধ্যে গুণগত মিল রয়েছে। পার্থক্য কেবল বীজের অঙ্কুরোদ্গমে। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এ ফুলের সবচেয়ে ভালো মানের বীজ তৈরি হচ্ছে, যার অঙ্কুরোদ্গম হার ৮০ ভাগের বেশি। আর কোনো দেশে এত ভালো মানের বীজ উৎপাদন করা এখনো সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, বেলে ও দোআঁশ মাটিতে নন্দিনীর বীজ ভালো হয়। লবণ-সহনশীল ফুলটি বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে চাষ করার সুযোগ রয়েছে সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে নন্দিনী উৎপাদনের সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। ভারত, থাইল্যান্ড, চীন, নেপাল, ভুটান ও পাকিস্তানসহ আশপাশের দেশগুলোতে ফুলটির চাহিদা পূরণে বাংলাদেশের ভূমিকা থাকবে অতুলনীয় বলে মনে করেন ড. জামাল উদ্দিন।

    তিনি জানান, ইতোমধ্যে দেশের একটি খ্যাতনামা কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি এ ফুলের চারা বাজারজাত করতে যোগাযোগ করেছে। সব ঠিকঠাক থাকলে খুব শিগগিরই এ ফুলের চারা কৃষকের জন্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে। দাম অবশ্যই ১০ টাকার বেশি হবে না।

    উল্লেখ্য, নানান উৎসবে সারাদেশে যে পরিমাণ ফুল বিক্রি হয় তার ৭৫ শতাংশ উৎপাদিত হয় ফুলের রাজ্য পানিসারার গদখালীতে। প্রায় ৬ হাজার চাষি দেড় হাজার হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ১৫ ধরনের ফুলের চাষ করে থাকেন। এবার নতুন মাত্রায় যোগ হলো নন্দনী ফুল।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…