নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ে শুরু হয়েছে ১৫ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা ও জাদুঘরের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এ বৈশাখীমেলা ও সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের আয়োজন করেছে। আবহমান বাংলার লোক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টায় ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। বৈশাখী মেলা ও জাদুঘরের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ইলিয়া সুমনা।
ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ লোক ও কারুশল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালনা বোর্ডের সম্মানিত সদস্য চন্দ্র শেখর সাহা ও সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান প্রমূখ ।
উৎসব উপলক্ষে ফাউন্ডেশন চত্বরে জমকালো আয়োজন করা হয়েছে। ফাউন্ডেশনের প্রধান ফটক থেকে উৎসব প্রাঙ্গণ পর্যন্ত রং বেরংয়ের বাতি ও বিভিন্ন গ্রামীন মোটিভ দিয়ে সাজানো হয়েছে।
এদিন বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পাশাপাশি সোনারগাঁ জাদুঘরের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়।
বৈশাখী মেলা ও জাদুঘরের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পের বৈচিত্র্যময় কারুপণ্যের সমাহার রাখা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কারুশিল্পীদের এখানে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উৎসবে জামদানি, শতরঞ্জি, নকশি কাঁথা, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, হাতপাখা, কাঠখোদাইশিল্প, পটচিত্র শিল্প, শোলাশিল্প, বাঁশ-বেতশিল্প এবং ক্ষুদ্র-নৃ গাষ্ঠীর কারুশিল্পীদের সৃষ্টিশীল কর্মের উপস্থাপন এবং বিপণনের সুযোগ পাচ্ছেন তারা।এছাড়াও উৎসব চলাকালীন প্রতিদিনই থাকছে বাউল গান ও লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এছাড়া থাকবে পুতুল নাচ, হালখাতা, বায়স্কোপ, সাপের খেলা, নাগরদোলাসহ গ্রামীণ বিনোদনের নানা আয়োজন। থাকছে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ খেলা তিন গুটি, সাত গুটি বাঘবন্দ, কানামাছি, গোল্লাছুট, বউচি ও কপাল টোক্কা। রসনাতৃপ্তির জন্য থাকবে মুখরোচক সব বাঙালি খাবার।
পক্ষকালব্যাপী এ মেলা চলবে ১৪ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত চলবে ৷